শুরুতে ঝড় উঠিয়েছিলেন অ্যালিসা হিলি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন অজি নারী দলের অধিনায়ক। তবে তাকে থামিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়েছিলেন নাহিদা। মাঝের ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে ঠিকই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে শেষের তিন ওভারেই যেন বদলে গেল চিত্র। 

শেষ দিকের ঝড়ে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা এবং গ্রেস হ্যারিস বাংলাদেশের কাছ থেকে নিয়ে গেলেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। ১৮তম ওভারে শরীফা দিয়েছিলেন ১৯ রান। এরপর নাহিদার ওভারেও এসেছিল ১৪ রান। আর শেষ ওভারে তৃষ্ণা হজম করেছেন ১৪ রান। তাতেই অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৫ রান। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। 

অফফর্মে থাকা ফিবি লিচফিল্ড এদিন বাদ পড়েছিলেন। ওপেনিং পজিশনে হিলির সঙ্গী ছিলেন বেথ মুনি। হিলি সাবলীল থাকলেও মুনি ভুগেছেন। চার্জ করে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্ট্যাম্পিং। শরীফার সুইং করা বলে ব্যাটে-বলে হয়নি। সুযোগ মিস করেননি জ্যোতি। 

এলিস পেরি এসে বেশি কিছু করতে পারেননি। তবে ততক্ষণে চড়াও হয়েছেন হিলি। দারুণ সব বিগশটে বিনোদন দিয়ে গিয়েছেন মিরপুরে জমা হওয়া গুটিকয়েক দর্শককে। ফিফটি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতেই ক্যাচ আউট হন নাহিদার বলে। 

এরপরেই অজি নারীদের ওপর চেপে বসে বাংলাদেশ। ৬২ রানে হিলির পর ৭১ রানে এলিস পেরিকেও তুলে নেন নাহিদা। দলীয় ৮৬ রানেই নাহিদার তৃতীয় শিকার হন অ্যাশলি গার্ডনার। বাংলাদেশ তখন অজিদের অল্প রানে বেঁধে রাখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ইনিংস বড় করতে পারেননি জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম নিজেও। রাবেয়ার বুদ্ধিদীপ্ত বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। 

এরপরেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন অজি সহঅধিনায়ক তাহলিয়া ম্যাকগ্রা এবং গ্রেস হ্যারিস। শেষ তিন ওভারে দুজনে তুলেছেন ৪৭ রান। দুজনের জুটি ছিল মোট ৫৭ রানের। তাতেই অজিরা পেয়ে যায় ১৫৫ রানের বড় সংগ্রহ। 

জেএ