শুরুর আগেই যেন শেষ হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শাহিন শাহ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব অধ্যায়। পাকিস্তানকে মাত্র একটি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এরপরই ফের তাকে সরিয়ে আর্মব্যান্ড দেওয়া হয়েছে বাবর আজমের হাতে। কেবল এখানেই শেষ হতে পারত বিষয়টা, শাহিন বলেননি এমন মন্তব্যও তার বরাতে প্রচার করেছে পিসিবি। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার আগেই সবসময় নাকি শহীদ আফ্রিদি জামাই শাহিনকে নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন!

সাম্প্রতিক সময়ে করা এক মন্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার। শাহিনের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা শুরু হয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। যেখানে তার নেতৃত্বে পরপর দু’বার লাহোর শিরোপা জেতায় জাতীয় দলেরও অধিনায়কত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়। এ নিয়ে শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম শাহিন কেবল ব্যক্তিগত ক্রিকেট নিয়েই মনোযোগী থাকুক। সেজন্য তাকে সবসময় ক্যাপ্টেন্সি থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেছিলাম।’

গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতা শেষে পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর। এরপর টি-টোয়েন্টিতে শাহিন আফ্রিদি এবং শান মাসুদকে টেস্ট ফরম্যাটের দায়িত্ব দেয় পিসিবি। দুই অধিনায়কই এখন পর্যন্ত একটি করে সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন দুজনই, তবে নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতির জন্য আরও অন্তত কিছু সময়ের জন্য সুযোগ পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল শাহিন-মাসুদদের। শান মাসুদ বহাল থাকলেও, শাহিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটির দায়িত্ব থেকে।

৩১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে পিসিবি জানিয়েছে, ‘পিসিবি নির্বাচক কমিটির পরামর্শক্রমে সভাপতি মহসিন নাকভি বাবর আজমকে পাকিস্তান জাতীয় দলের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক করেছে।’ এর আগে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে ব্যর্থতায় দায়ে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়েন এই তারকা ব্যাটসম্যান, যার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন বাবর।

পিসিবির এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন শাহিনের শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি। সাবেক এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বাবর নন, অন্য কাউকে পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছেন বলে জানান আফ্রিদি, ‘আমি নির্বাচক কমিটির অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এমন সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমি এখনও বিশ্বাস করি যদি সত্যিই অধিনায়ক পরিবর্তনের দরকার ছিল, তাহলে রিজওয়ানই সেরা পছন্দ হতে পারত।’

তবে নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া বাবরের প্রতিও ফের সমর্থন থাকবে বলে জানান শহীদ আফ্রিদি, ‘যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে, পাকিস্তান দল ও বাবর আজমের জন্য আমার পুরো সমর্থন এবং শুভকামনা থাকবে।’ নতুন করে বাবরের গুরুদায়িত্ব শুরু হবে পাকিস্তানের মাঠে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। ১৮ এপ্রিল থেকে দু’দল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে।

এএইচএস