চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার পদ্মপাড়ের ইউনিয়নের শাহাজানপুর গ্রামে জন্ম নাহিদ রানার। সেই কাদামাটি ঘেরা গ্রাম থেকেই উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। বড় ভাইয়ের সাহায্যে ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা গতিময় এই পেসার। 

সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রানা। এরপর সিলেটে প্রথম টেস্টেই নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলে ফেলেন এই ক্রিকেটার। ১ টেস্ট ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট শিকার করেই রানা মন জয় করে নিয়েছেন দেশের ভক্ত-সমর্থকদের। তার এলাকার মানুষেরাও খুশি তার এমন কীর্তিতে।

আজ বৃৃহস্পতিবার সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এবারের ঈদ পালন করতে রানা পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন নিজ গ্রামেই। আর সেই শাহাজাহানপুর থেকেই ঈদের অনূভুতি ঢাকাপোস্টকে জানিয়েছেন রানা। শুনিয়েছেন পরিবারের গল্প, ছোট বেলার ঈদের গল্প এবং সালামির গল্প।

ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় প্রবেশের পর রানাকে পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশিরাও জানিয়েছেন স্বাগতম। সে গল্প নিয়ে তরুণ এই পেসার বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো বলছে, সবাই অনেক খুশি। আমি সুস্থ আছি এটা দেখেই বাবা মা খুশি। আশেপাশের লোকজন বলছে তারা অনেক খুশি আসলে, বলছে ভালো খেলেছিস।'

পরিবারের সাথে ঈদ করছেন, ছোট বেলার সাথে এখন কি পার্থক্য দেখেন, ‘ছোট বেলার ঈদ আসলে ১০ দিন আগে থেকেই মনের ভেতর আনন্দ কাজ করতো। এখন সেই আনন্দটা কম কাজ করে, তবে যখন বাসায় আসি তখন আনন্দের সাথেই কাটানোর চেষ্টা করি পরিবার বন্ধুদের সাথে।’

সবার জীবনে ঈদের দিন অনেক আনন্দের। তবে রানার এবারের ঈদটা বিশেষ কারণে স্পেশাল। কেননা সদ্যই অভিষেক ক্যাপ পরেছেন টেস্ট ফরম্যাটের, ‘প্রতিটি ঈদ তো স্পেশাল, তবে এবারের ঈদ অনেক বেশি স্পেশাল যেহেতু আমাকে নিয়ে মানুষের যে স্বপ্ন ছিল সেটা পূরণ হয়েছে। সেই হিসেবে আমার কাছে আনন্দের।’

ঈদের দিনে কি পরিকল্পনা থাকে সবসময় এমন প্রশ্নে রানার সহজ সরল উত্তর, ‘ঈদের দিন নরমালি বন্ধুদের ঘোরাঘুরি, কোথাও গেলাম, আড্ডা দিলাম। অনেক সময় তারা টেপ টেনিস বল দিয়ে খেলে ক্রিকেট তখন আমি দর্শকের ভূমিকা নিয়ে দেখি। বন্ধুদের খেলা উপভোগ করি।’

ঈদের অনেকের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে মায়ের হাতে বিশেষ কিছুর। তেমনি রানারও রয়েছে, 'ঈদের দিন নরমালি আমার প্রিয় খাবার হাঁসের মাংস। গরুর মাংসের সাথে ডাল ভাতও খেয়ে থাকি।'

ঈদে পরিবারের সবার জন্য নিজে থেকে উপহার কিনেছেন রানা, 'এবারের ঈদে আমি আসলে ঢাকা থেকে সবার জন্য কেনাকাটা করতে সময় পায়নি। যে কারণে এলাকায় আসার পর তারপর কেনাকাটা করেছি। আমি এসেছি এতেই তারা অনেক খুশি।'

ছোট বেলার ঈদকে মিস করেন রানা, জানালেন সালামি দিতেই বেশি পছন্দ তার, 'ছোট বেলার ঈদকে আসলে মিস করি অনেক। আগে ঈদ বোনাস পেতাম বলতাম এতটাকা লাগবে এখন সেটা হয়না। এখন সালামি দিতেই অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় ঈদের দিনে সেকি ক্রিকেট খেলা আজও চোখে ভাসে।'

এসএইচ/জেএ