শেষবার যখন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওইয়েল, তখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন সেই ২০১ রানের অসাধারণ ইনিংস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ক্র্যাম্প নিয়ে খেলা সেই ইনিংসকে অনেকেই ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংস আখ্যা দিয়ে থাকেন। মাসখানেক পর আবার সেই ওয়াংখেড়েতে এসেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে এবার গড়লেন লজ্জার এক রেকর্ড। 

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এসেছিলেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। এসেই আউট হয়েছেন ডাক মেরে। শ্রেয়াস গোপালের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করা বলটি বুঝতে ভুল করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাটে বলে হয়নি। হয়েছেন এলবিডব্লিউ। যখন ফিরছেন তখন আইপিএলে লজ্জার এক ইতিহাসই গড়ে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসরে সবার চেয়ে বেশি ডাক এখন তার। 

অবশ্য সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকায় তিনি একক নন। এই তালিকায় আছেন তারই বেঙ্গালুরু সতীর্থ দীনেশ কার্তিক। সেইসঙ্গে আছেন রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটার। কিন্তু একটা দিক থেকে ম্যাক্সওয়েল ছাড়িয়ে গিয়েছেন দুজনকেই। 

সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এতবার ডাক মেরেছেন তিনি। ১২৬ ইনিংসেই ১৭ বার শূন্যের দেখা পেয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ১৭ শূন্যের জন্য কার্তিক খেলেছেন ২২৬ ইনিংস আর ২৪২ ইনিংস খেলতে এসে ১৭তম ডাক পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিন জন। এদের মধ্যে সুনীল নারাইন মারকুটে ব্যাটার হিসেবে স্বীকৃত। পীযূষ চাওলা, মানদীপ সিংও মেরেছেন ১৫ ডাক। এরপরেই আছেন রশিদ খান, মনীশ পাণ্ডে ও আম্বাতি রাইডু। এদের ডাক আছে ১৪ বার। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও ডাক মারার হিসেবে ওপরের দিকে আছেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড রোহিতের। সর্বোচ্চ ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।

এছাড়া স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ শূন্য রানে ৪৩ বার আউট হয়েছেন সুনীল নারাইন। ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও ৪৩ বার ডাক মেরেছেন। 

জেএ