বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী।

আগামীকাল থেকে কাতারে শুরু হচ্ছে যুব এশিয়া কাপ (এএফসি অ-২৩ চ্যাম্পিয়নশীপ)। এশিয়ার শীর্ষ ১৬ দল এই শিরোপার জন্য লড়বে। এই টুর্নামেন্টে কম্পিটিশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী। 

গতকাল ঈদের দিন সকালে তিনি কাতারের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বাফুফে ও সাফ আয়োজিত ঢাকায় অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনি দায়িত্ব পালন করলেও বিদেশে বড় কোনো টুর্নামেন্টে এই দায়িত্ব এবারই প্রথম।

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করেছিল। সেই বিশ্বকাপ ভেন্যু খলিফা স্টেডিয়ামেই কম্পিটিশন অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের জাবের। এই ভেন্যুতে গ্রুপ পর্যায়ের ৭ টি ম্যাচ পরিচালনায় সার্বিক বিষয় সমন্বয় ও তদারকি তার দায়িত্ব। এই ভেন্যুর খেলা শেষ হলেই দেশে ফিরবেন বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার। 

২০০৫ সালে আবু নাইম সোহাগ কম্পিটিশন ম্যানেজার হিসেবে বাফুফেতে যোগ দেন। তিন বছর পর তার সহকারী হিসেবে জাবের ফেডারেশনে চাকরি শুরু করেন। সোহাগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই জাবের ঘরোয়া ফুটবলের কম্পিটিশনের সকল দায়িত্ব দেখাশোনা করেন। সোহা পূর্ণ সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে জাবের কম্পিটিশন ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি পান। এই পদে রয়েছেন প্রায় এক দশক। 

কম্পিটিশন ম্যানেজার হিসেবে জাবেরের দক্ষতা যেমন রয়েছে তেমনি আবার তিনি প্রশ্নবিদ্ধও। বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগের ফিফা নিষেধাজ্ঞা রিপোর্টে নাম রয়েছে জাবেরেরও। সেই রিপোর্টে জাবেরের বল কেনাকাটা সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি পেয়েছিল ফিফা। এ নিয়ে বাফুফের তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করলেও এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। 

এজেড/এফআই