১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। গত বছর বিশেষ এই দিনেই কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে কয়েক বছর তদন্ত করে অসঙ্গতির দায়ে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফিফার নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ।

নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে বাফুফের এক বছরের হালচাল ও সোহাগের ফেডারেশন পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের। 

তদন্ত প্রতিবেদন সাড়ে তিন মাসে, আট মাসেও নেই সিদ্ধান্ত 

২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল ফিফা সোহাগ কাণ্ডে ৫৪ পাতা রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টের পর বাফুফে ১৭ এপ্রিল জরুরি সভায় ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ফিফার রিপোর্টের পর পুনরায় তদন্তের কমিটি গঠন অপ্রয়োজন মনে করে বাফুফের এক সহ-সভাপতি ও আরেক সহ-সভাপতি অন্য কারণে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। 

বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ অবশিষ্ট ৮ জন (আরেক সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান কমিটিতে থাকলেও কোনো সভায় উপস্থিত হননি এবং তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও করেননি) নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেন। তদন্ত কমিটি কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ৩১ জুলাই। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দুই মাস পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাহী কমিটির সভা হয়। নির্বাহী কমিটির সভাতে তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠলেও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবাইকে প্রতিবেদন পড়ে মতামত জানানোর কথা বলা হয়। এরপর আর নির্বাহী সভা হয়নি ফলে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও হয়নি।

বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ হয়েছেন আর্থিক বিষয়াদি অসঙ্গতির জন্য। বাফুফের বেতনভুক্ত স্টাফরা এতে শাস্তিপ্রাপ্ত হলেও দায় এড়াতে পারে না বাফুফের ফিন্যান্স কমিটিও। সোহাগ কাণ্ডের পরও ফিন্যান্স কমিটির আনুষ্ঠানিক সভার খবর তেমন পাওয়া যায়নি।

ফিফা প্রতিবেদন ও বাফুফে তদন্ত রিপোর্টে সোহাগ ছাড়াও বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু, ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভ অনুপম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানের দায় পেয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের শাস্তি সুপারিশ করা হয়েছিল। বাফুফে আনুষ্ঠানিক শাস্তির প্রদানের আগেই দুই একজন অভিযুক্ত ফেডারেশনের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আগেই তাদের অব্যাহতি গ্রহণের পর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামত প্রদানের যৌক্তিকতা থাকে না। তদন্ত প্রতিবেদনে বাফুফের আরও ২ জন এক্সিকিউটিভের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আট মাস পরেও এই ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত দেখা যায়নি। 

তদন্ত প্রতিবেদনটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

নামসর্বস্ব ফিন্যান্স কমিটি!  

বাফুফে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ হয়েছেন আর্থিক বিষয়াদি অসঙ্গতির জন্য। বাফুফের বেতনভুক্ত স্টাফরা এতে শাস্তিপ্রাপ্ত হলেও দায় এড়াতে পারে না বাফুফের ফিন্যান্স কমিটিও। সোহাগ কাণ্ডের পরও ফিন্যান্স কমিটির আনুষ্ঠানিক সভার খবর তেমন পাওয়া যায়নি। এই কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সদস্য ফেডারেশনের চার সহ-সভাপতি। একাধিক সহ-সভাপতি মনে করতে পারেননি গত এক বছরে ফিন্যান্স কমিটির সভা হওয়ার বিষয়টি। 

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন প্রায়ই আর্থিক সংকটের কথা বলেন। আর্থিক সংকটে সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশি প্রয়োজন। বাফুফের আর্থিক কোনো নীতিমালাই নেই। সভাপতি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই হয় সব ৷ ১৪ বছর পর সাফে সেমিফাইনালে উঠায় বাফুফে সভাপতি আকস্মিক ৫০ লাখ টাকা ঘোষণা করেন। সেই অর্থ ফেডারেশনের ফান্ড থেকেই প্রদান করা হয়। তিন দিন মাস পর বাফুফে সভাপতি আবার জামাল ভূঁইয়াদের ৬০ লাখ বোনাস ঘোষণা করেন। সভাপতির ঘোষণা বৈধতা দেওয়ার জন্য অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জরুরি সভা হয়। সভাপতির ঘোষণা ও সভার সিদ্ধান্তের পরও এখনো অর্থ পাননি জামালরা। 

এত বড় অঙ্কের ঘোষণা ও বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে ফিন্যান্স কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা হতে দেখা যায়নি সাম্প্রতিক সময়ে। অনেক ক্ষেত্রে সভাপতি ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন আবার অনেক সময় কমিটির চেয়ারম্যান সভাপতির সম্মতি নেন তবে সাংগঠনিকভাবে সভার সংস্কৃতি খুব কম। 

সভার আগেই ‘সিদ্ধান্ত’

সোহাগ কাণ্ডের অল্প কিছু দিন আগে গত বছর নারী ফুটবল দল মিয়ানমারে পাঠায়নি বাফুফে। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এতে সম্মতি ছিল মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের। সাফ চ্যাম্পিয়ন দল অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলবে না এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে মহিলা ফুটবল কমিটি ও বাফুফের আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই। 

নারী দল না পাঠানো ও সোহাগ কাণ্ডে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অত্যন্ত চাপে ছিলেন। কারণ ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তার চেয়ে তিনি সোহাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নানা সময়। সেই সোহাগ দেশের ভাবমূর্তি ডুবিয়েছে। ঐ ঘটনার পর কয়েক মাস ঘন ঘন জরুরি নির্বাহী সভা হয়েছে। কমিটির সকলকে অবহিত করে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

সোহাগ কাণ্ড খানিকটা পেছনে পড়ে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর আগের মতোই অবস্থা। পাঁচ মাস নির্বাহী কমিটির সভা নেই। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান রদবদল করেছেন সভাপতি কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াই। দুই মাস অসুস্থতার পর ফেডারেশনে এসে কোচদের ভূমিকাও রদবদল করেছেন।

একাডেমির জন্য কোচ ঠিক হওয়ার কথা ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভায়। ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভার আগেই ব্রিটিশ কোচ বাটলারের সাক্ষাৎকার নেন সভাপতি সালাউদ্দিন। এরপরই মূলত চূড়ান্ত হয় তার বাফুফে আগমন। একাডেমির জন্য ঠিক করা কোচকে মহিলা ফুটবল দলে ও মহিলা দলে কাজ করা টিটুকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করার অভিপ্রায় সভাপতির। টিটুকে ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর করতে নানা ফর্মুলায় নামকাওয়াস্তের বিজ্ঞপ্তি ও টেকনিক্যাল কমিটি সভাপতির ইচ্ছে পূরণে সভা করে। টিটু নারী ফুটবল দলের হেড কোচ করার সিদ্ধান্তও হয়েছিল আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই।

নমনীয় ও ‘অতিমূল্যের’ সাধারণ সম্পাদক

আবু নাইম সোহাগের স্থলাষিভিক্ত হয়েছেন ইমরান হোসেন তুষার। তিনি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের একান্ত সচিব ছিলেন। গত এক বছর তিনিই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ের মধ্যে ফুটবল ফেডারেশন তেমন বড় কোনো বিতর্ক বা জটিলতার মধ্যে পড়েনি। সংকট পরিস্থিতি থেকে বাফুফেকে স্বাভাবিক অবস্থায় এনেছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে। নতুন সাধারণ সম্পাদকের আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেডারেশন ও ফুটবল সংশ্লিষ্টরা এখনো সেভাবে প্রশ্ন তোলেনি। 

সাধারণ সম্পাদক ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী। বেতনভুক্ত সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের। তার অতি নমনীয়তায় বাফুফের এখনকার প্রশাসন সোহাগ আমলের চেয়ে অনেকটা নির্ভার। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদকের এমন অবস্থানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান অর্থ কর্মকর্তাই যেন অলিখিতভাবে প্রশাসনের নীতি নির্ধারক!  

আবু নাইম সোহাগের স্থলাষিভিক্ত হয়েছেন ইমরান হোসেন তুষার

সোহাগ কাণ্ডের পর বাফুফের প্রশাসনে রদবদল হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে নতুন লোক নিয়োগ হয়েছে। নতুন স্টাফরা পুরনোদের চেয়ে অনেক বেশি বেতনে যোগদান করেছেন ৷ এতে বাফুফে প্রশাসনে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। নানা সময় ফিফা-এএফসির দোহাই দেওয়া বাফুফের প্রশাসনে কোনো বেতন কাঠামো নেই। পারফরম্যান্স, শৃঙ্খলা-যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার চেয়ে সভাপতির সুনজর ও দুই-একজনের সুপারিশই বেতন বৃদ্ধি ও চূড়ান্তের ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক। 

সোহাগ কাণ্ডের পর বাফুফের প্রশাসনে রদবদল হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে নতুন লোক নিয়োগ হয়েছে। নতুন স্টাফরা পুরনোদের চেয়ে অনেক বেশি বেতনে যোগদান করেছেন ৷ এতে বাফুফে প্রশাসনে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। 

সোহাগ ঘটনার আগে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের সম্মানী ছিল অর্ধ লক্ষ টাকার একটু বেশি। ১৭ এপ্রিল ৬ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তার সম্মানী দ্বিগুণের একটু বেশি হয়ে দাড়ায় দেড় লাখ। সাথে গাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ হয়। কয়েক মাস পর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা না করে অক্টোবরে নির্বাহী কমিটির সভায় ইমরান হোসেন তুষারকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপরই তার সম্মানী আরও দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি হয়। 

সোহাগের বেতন ধাপে ধাপে বেড়ে তিন লাখের বেশি হয়েছিল। সেখানে নতুন সাধারণ সম্পাদকের সম্মানী মাত্র ছয় মাসের মধ্যে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে আগের সাধারণ সম্পাদকের সমান হওয়ায় ফুটবল ফেডারেশনের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।

মুখে ‘কুলুপ’ এঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সোহাগ

ফিফা বাফুফের আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়াদিতে আবু নাইম সোহাগের ত্রুটি খুঁজে পেয়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। ফিফার এই নিষেধাজ্ঞার তিন দিন পর ফেডারেশন জরুরি সভা করে সোহাগকে ভবিষ্যতে আর ফুটবল ফেডারেশনে কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি উদ্ভূত ঘটনায় বাফুফে তদন্ত কমিটিও করে। সেই কমিটিও সোহাগের ত্রুটি খুঁজে পায়।

সোহাগ একজন চাকুরে ছিলেন ফেডারেশনের। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান, সভাপতির নির্দেশনা বা অনুমতি ছাড়া অনেক কিছুই তার করা সম্ভব ছিল না। তিনি কার নির্দেশে কাজগুলো করেছেন এবং তিনিই কেন সব দায়ভার নিলেন? তদন্ত কমিটি সোহাগকে না ডেকেই তাকে সম্পূর্ণ দোষী সাব্যস্ত করেছে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও সোহাগ এই সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। বরাবরই মামলা চলমান ও ফিফার দোহাই দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। 

দুই বছর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সোহাগকে ফিফা আর্থিক জরিমানাও করেছিল। সোহাগ সেই জরিমানা পরিশোধ না করে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার অগ্রগতি কতটুকু সেটা নিয়েও সোহাগ তেমন কিছু বলেন না। সোহাগের এই মামলা পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি। যিনি আবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মামলাও দেখভাল করেন। এর মাধ্যমে ফুটবলসংশ্লিষ্টরা অনেকটাই নিশ্চিত, সালাউদ্দিনের মাধ্যমেই সোহাগ আইনী পথে হেঁটেছেন এবং অনেকের অনুমান সালাউদ্দিনের সঙ্গে সোহাগের এখনো হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর সোহাগের বহুমুখী প্রতিভার যেন বিকাশ ঘটছে! কখনো পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরামর্শকের ভুমিকায়, কখনো আবার উদীয়মানদের শিক্ষাদানে আবার কিছু সময় গবাদিপশু পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তার সামাজিক মাধ্যমে।

সোহাগ ফিফার বহিষ্কারের পর মাস খানেক একটু নিভৃতে ছিলেন। এরপর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা থেকে পাশ করা সোহাগ এখন প্ল্যানার্স ইন্সটিটিউট নিয়ে ব্যস্ত। পরিকল্পনাবিদদের সংগঠনে তিনি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন। বিশেষ করে নতুন সরকারের অনেক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গেছে সৌজন্য সাক্ষাতে। জাতীয় নির্বাচনের সময় মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রচারণাও ছিলেন।  

ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর সোহাগের বহুমুখী প্রতিভার যেন বিকাশ ঘটছে! কখনো পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরামর্শকের ভুমিকায়, কখনো আবার উদীয়মানদের শিক্ষাদানে আবার কিছু সময় গবাদিপশু পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তার সামাজিক মাধ্যমে। সোহাগ ফুটবল থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো চাকরিতে প্রবেশ করেননি। পারিবারিক ব্যবসা (তার একমাত্র ভাই ব্যাংকার এবং বাবা পত্রিকা প্রকাশনায় সম্পৃক্ত) ও বন্ধুদের সঙ্গে কনসালট্যান্সি করেন বলে জানান সোহাগ। ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর সোহাগের ক্রীড়াঙ্গন এড়িয়ে চলাটা স্বাভাবিক। তবে কিছু দিন আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট টেন্ডার নিয়ে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে একটি কোম্পানির পক্ষে তদবির করছেন বলে শোনা গেছে নানা মাধ্যমে। 
 
এজেড/এফআই