স্লো-পিচের বাইরে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকায় দেখা গেল না বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফিজের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তারপরেও চেন্নাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রেখেছিল ফিজের ওপর। তিনি যে সেটার প্রতিদান খুব ভালো করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তা অবশ্য বলা চলে না। ৪ ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৫৫ রান। 

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ভুলে যাওয়ার মতোই রাত পার করেছেন ফিজ। পাওয়ারপ্লেতে দুবার তার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ। দুবারই দলকে হতাশ করেছেন। দিয়েছিলেন ২৩ রান। ১৮ তম ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ১৯ রান। আর শেষে এসে ১৩ রান দিয়েছেন রান সহায়ক পিচে। 

চিপাকের স্লো উইকেটের বাইরে এখন পর্যন্ত দুবার বল করেছেন ফিজ। দুবারই ছিলেন খরুচে। এই নিয়ে আলোচনাও কম হচ্ছে না। যদিও পরিসংখ্যান বলছে এখন পর্যন্ত আইপিএলের বোলারদের তালিকায় ওপরের দিকেই আছেন ফিজ। 

উইকেট বিবেচনায় যৌথভাবে দুইয়ে আছেন টাইগার পেসার। যুজবেন্দ্র চাহাল ১১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। দশ উইকেট পেয়েছেন ফিজ এবং জাসপ্রিত বুমরাহ। যদিও ইকোনমি রেটের বিবেচনায় বুমরাহ এগিয়ে আছেন। টুর্নামেন্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন এই তিনজনেই। 

চোখ রাখা যাক, উইকেটপ্রতি কে কত রান দিয়েছেন। এখানে শীর্ষ অবস্থানে মাথিশা পাথিরানা। ৮ উইকেট নেয়া এই লঙ্কান পেসার দিয়েছেন মোটে ৮৮ রান। অর্থাৎ, প্রতি ১১ রানে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনি। 

এরপরেই আছেন ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ। উইকেটপ্রতি খরচ করেছেন ১৪.৬০ রান। চাহালের খরচ হয়েছে ১৪.৮১ রান। বিপরীতে ফিজ দিয়েছেন ১৮.৩০ রান। তবে ফিজের এমন পরিসংখ্যান খাটো করে দেখার উপায় নেই। শীর্ষ দশে ফিজের চেয়ে কম গড়ে উইকেট নিয়েছেন কেবল এই তিনজন।

ইকোনমি বিবেচনায় ফিজ অবশ্য কিছুটা পিছিয়েই থাকছেন। আইপিএলের এবারের আসরে ৮ বা তার অধিক উইকেট পেয়েছেন এখন পর্যন্ত ১০ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনের ইকোনমিই ফিজের তুলনায় ভালো। মুস্তাফিজ বল করেছেন ৯.১৫ ইকোনমি রেটে। তারচেয়ে বেশি ইকোনমি কেবল আর্শদ্বীপ সিং, জেরাল্ড কোয়েটজে এবং মোহিত শর্মার। 

জেএ