কলকাতার বিপক্ষে জশ বাটলারের সেঞ্চুরি দেখে মাইকেল ভন বলতে বাধ্য হলেন, এটাই তার দেখা সেরা টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। জাতীয় দলের সতীর্থ বেন স্টোকসের বক্তব্য, বাটলার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ না করলেই বরং অবাক হতেন তিনি। কখনো আগ্রাসী হয়েছেন, কখন করেছেন ধৈর্যশীল ব্যাটিং। 

শেষ ছয় ওভারে ৯৬ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। বাটলার ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটার ছিলেন শুধু পাওয়েল। তিনিও ফিরে গেলেন। এরপর বাটলার লড়লেন একাকী। আভেশ খানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েছেন বটে। তবে সবটা করেছেন তিনিই। আভেশকে খেলতে হয়নি একটা বলও। ১৮ বলে ৪৬ দরকার। সেই ম্যাচটাও শেষ করেছেন দারুণ দক্ষতায়। 

জস বাটলার নিজের প্রথম ৩৪ বলে করলেন মাত্র ৪২ রান। অপরপ্রান্তে ততক্ষণে নেই ৬ উইকেট। এরপর পরিস্থিতি বুঝে খেললেন অমর এক ইনিংস। নিজের বাকি ২৬ বলে করলেন ৬৫ রান। সঙ্গে জেতালেন দলকেও। আর এই সেঞ্চুরি দিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন টি-২০ ক্রিকেটের কিংবদন্তী ক্রিস গেইলকেও। 

আইপিএলে গেইলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এখন জশ বাটলার। গেইলের সেঞ্চুরি ছিল ৬টি। আর গতকাল বাটলার করেছেন নিজের ৭ম সেঞ্চুরি। আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এই ইংলিশ ব্যাটার। আর সবমিলিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। আইপিএলের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক বিরাট কোহলি। তার সেঞ্চুরি ৮টি। 

অন্য একদিকে অবশ্য সবার ওপরে বাটলার। আইপিএলে রানতাড়া করতে নেমে বাটলার করেছেন ৩ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে এতবেশি সেঞ্চুরি আইপিএলে আর কেউই করতে পারেননি। 

এছাড়া নিজের এমন সেঞ্চুরির দিনে আরেক ইতিহাস গড়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের এই ব্যাটার। ১৭ বছরের ইতিহাসে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করেছে তার দল। সেটাও এমনই এক অনবদ্য সেঞ্চুরির কল্যাণে। 

জেএ