৬ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় আছে তিনে। দুই ম্যাচ হেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস। দুটোই ঘরের বাইরে। আর নিজেদের মাঠ চিপাকে অনন্য আইপিলের হলুদ জার্সিধারীরা। হোমগ্রাউন্ডে চেন্নাইয়ের সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এখন পর্যন্ত চিপাকে নিয়েছেন ৮ উইকেট। আর সবমিলিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট। 

মুস্তাফিজ স্লো পিচে অনন্য। চিপাকের খেলায় তিনি চেন্নাই স্কোয়াডের বড় ভরসা। কিন্তু খেলা যখন চেন্নাইয়ের বাইরে, তখন ফিজ যেন কিছুটা খরুচে বোলার। চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচটা তাই মুস্তাফিজের জন্য খানিক পরীক্ষা হিসেবেই থাকবে। ১৯শে এপ্রিল চেন্নাইকে খেলতে যেতে হবে একানা স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টস। 

ওয়াংখেড়ে বা বিশাখাপত্তমের মতো না হলেও রানসহায়ক উইকেট হিসেবে পরিচিতি আছে লখনৌর একানা স্টেডিয়ামের। আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে। তাতে ৬ বার জয় পেয়েছে আগে ব্যাট করা দল। আর পরে ব্যাট করা দল পেয়েছে ৩ জয়। প্রথম ইনিংসে গড়ে স্কোর ওঠে ১৬০। আর দ্বিতীয় ইনিংসে গড় স্কোর  ১৪৬। 

আপাত পরিসংখ্যানে আদর্শ উইকেট মনে হলেও, চলতি বছরের পরিসংখ্যান বলছে একেবারেই ভিন্ন এক গল্প। একানা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ এবং সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে জয়ের রেকর্ড– দুটোই হয়েছে চলতি আসরেই। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৯৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল স্বাগতিক লখনৌ সুপার জায়ান্টস। সফল রানতাড়ার রেকর্ডও তাদেরই। এবারের আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের ১৭০ রান এই মাঠে ১১ বল বাকি থাকতেই চেজ করেছিল লখনৌ। 

এমনকি এবারের আইপিএলে এই মাঠে ৩ ম্যাচেই হয়েছে ৪০ ছক্কা এবং ৮২ চার। অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচে ৪০ টি বাউন্ডারি হয়েছে গড়ে। স্বাভাবিকভাবেই এমন পিচে অতীত ইতিহাস খুব বেশি সুখস্মৃতি দেবে না মুস্তাফিজকে। 

যদিও এবারের আইপিএল আত্মবিশ্বাস দিতেই পারে ফিজকে। উইকেট বিবেচনায় যৌথভাবে দুইয়ে আছেন টাইগার পেসার। যুজবেন্দ্র চাহাল ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। দশ উইকেট পেয়েছেন ফিজ এবং জাসপ্রিত বুমরাহ। যদিও ইকোনমি রেটের বিবেচনায় বুমরাহ এগিয়ে আছেন। টুর্নামেন্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন এই তিনজনেই। 

গড় হিসেবে অবশ্য শীর্ষ অবস্থানে মাথিশা পাথিরানা। ৮ উইকেট নেয়া এই লঙ্কান পেসার দিয়েছেন মোটে ৮৮ রান। অর্থাৎ, প্রতি ১১ রানে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনি। এরপরেই আছেন ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ। উইকেটপ্রতি খরচ করেছেন ১৪.৬০ রান। চাহালের খরচ হয়েছে ১৪.৮১ রান। 

বিপরীতে ফিজ দিয়েছেন ১৮.৩০ রান। তবে ফিজের এমন পরিসংখ্যান খাটো করে দেখার উপায় নেই। শীর্ষ দশে ফিজের চেয়ে কম গড়ে উইকেট নিয়েছেন কেবল এই তিনজন। একানা স্টেডিয়ামে তাই পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলেও আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবেন ফিজ।