জয়ের জন্য পঞ্জাব কিংসের লক্ষ্য ছিল ১৯৩ রান। আইপিএলে যেভাবে রান হচ্ছে, তাতে এই রানকে বড় সংগ্রহ বলা যাবে না। তবে জাসপ্রীত বুমরাহ-জেরাল্ড কোয়েটজে জুটি নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরালেন। তাতে এই সংগ্রহটাই যথেষ্ট হলো জয়ের জন্য।

টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন স্যাম কারান। আগে ব্যাট করতে নেমে ঈশান কিশান রান পাননি। ৮ বলে ৮ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা করলেন ২৫ বলে ৩৬ রান।

তিনে নেমে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। ৫৩ বলে করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান। সূর্য রান পেলেও আবার ব্যর্থ হার্দিক। মাত্র ১০ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তবে তিলক ভার্মা ১৮ বলে ৩৪ রান করে দলকে ভালো সংগ্রহ গড়তে সাহায্য করেন।

১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২.১ ওভারেই ৪ উইকেট পড়ে যায় পাঞ্জাবের। প্রভুসিমরান সিংহ ডাক মারেন। তিনে নেমে রাইলি রুশো ১ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংস ওপেন করতে নামা স্যাম কারান এক বাউন্ডারিতে করেছেন ৬ রান। আর বিপদ আরও বাড়িয়েছেন অফ ফর্মে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান।

১৪ রানে ৪ উইকেট হারানো পাঞ্জাব ঘুড়ে দাঁড়ায় শশাঙ্ক সিং এবং আশুতোষ শর্মার হাত ধরে। ২৫ বলে ৪১ রান করে শশাঙ্ক আউট হলেও আশুতোষ লড়াই চালিয়ে যান। হারপ্রীত ব্রারকে সঙ্গে নিয়ে লড়ছিলেন তিনি। ২৮ বলে ৬১ রান করেন আশুতোষ। তিনি যত ক্ষণ উইকেটে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল পঞ্জাবের।

শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৮ রান। মনে হচ্ছিল আশুতোষই জিতিয়ে দেবেন। এমন সমীকরণের সামনে বল করতে আসেন বুমরাহ। ১৭তম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন এই পেসার। চাপ বেড়ে যায় আশুতোষের ওপর। পরের ওভারের প্রথম বলেই কোয়েটজ়িকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন আশুতোষ।

এরপর আর জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেনি পাঞ্জাব। মুম্বাই জিতেছে ৯ রানের ব্যবধানে।

এইচজেএস