সবশেষ বিপিএলটা ভালো কাটেনি ইমরুল কায়েসের। শুরুর তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেও পরে ইনজুরির কারণে ছন্দপতন হয় বাঁ-হাতি এই ওপেনারের। সেই চোট কাটিয়ে ইমরুল ডিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরেছেন। শুরুর দিকে একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন মোহামেডানের এই অধিনায়ক। সবশেষ আজ ব্যাট হাতে করেছেন অপরাজিত ৯২ রান।

মিরপুর শের-ই বাংলায় ম্যাচ শেষে তার কাছে গণমাধ্যমের প্রশ্ন জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে। জবাবে ইমরুল বলেন, ‘এখানে খেলছি, এখানে খেলতে দিন না। এখানেই খেলি। জাতীয় দল পরে দেখা যাবে। (ডিপিএলের মাঝামাঝিতে ছন্দ হারানো নিয়ে) ক্রিকেটে ক্যারিয়ারই এমন, সবসময় ভালো খেলবেন না, উত্থানপতন থাকবে। একটা বিরতির পর সব নতুন করে শুরু করতে পেরেছি। নতুন করে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি।’

ডিপিএল নিয়ে ইমরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিপিএলের ওপর কোনো লিগ নেই। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়, ভালো ভালো বোলার থাকে, স্পিনার থাকে। যাদের মোকাবিলা করে আপনাকে রান করতে হবে। স্কিলফুল ব্যাটার থাকে, বোলাররাও সেই চ্যালেঞ্জ নেয়। যখন বিদেশিরা খেলতো ওরাও বলেছে, প্রিমিয়ার ডিভিশনে অনেক ভালো ক্রিকেট হয়।’

বর্তমানে মোহামেডানের নেতৃত্বভার রয়েছে ইমরুলের কাঁধে, তবে সুপার লিগে তিনি এই দায়িত্বে অন্য কাউকে চান, ‘অধিনায়কের কাজ দলকে গুছিয়ে রাখা। খেলতে হয় খেলোয়াড়দের, অধিনায়ক একা খেলে দেয় না। আমি প্রথমে রিয়াদ ভাইকে বলেছিলাম অধিনায়কত্ব করেন। আজও বলেছি সুপার লিগ আরেকজন করুক। আমি চাই মিরাজ (মেহেদী হাসান) করুক। এখান থেকে শিখুক। জাতীয় দলে গিয়ে যেন সহজ হয়, মুখস্থ থাকে। আজ সকালেও বলেছি পরের পাঁচটা ম্যাচ মিরাজ অধিনায়কত্ব করলে ভালো লাগবে। আমার কাছে অধিনায়কত্ব কোনো বড় ব্যাপার নয়।’

উল্লেখ্য, আজকের ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায়। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ সমান ৪৫ করে রান করেন মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌস। বিপরীতে মোহামেডানের হয়ে ২২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন নাসুম, মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩ উইকেট। জবাবে রানতাড়ায় মোহামেডান মাত্র ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ব্রাদার্সের লক্ষ্য পেরিয়ে যায়। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন।

এসএইচ/এএইচএস