সারা দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। আর এর মধ্যেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের খেলা চলছে। এমন গরমেও সুস্থ থেকে কিভাবে ভালো খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়েই আজ (বুধবার) আলোচনা হয়েছে মিরপুরে। বিসিবির ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি রুমে এ বিষয়ে একটি ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয়েছে।

আয়োজন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘বাতাসে প্রচুর তাপ, শুধু তাপ হলে অতটা সমস্যা ছিল না। কিন্তু জলীয়বাষ্পের কারণে এখানে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে এবং এই আর্দ্রতা খেলার জন্য ক্ষতিকর। এটা শারীরিক দিক থেকেও ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু এ অবস্থায়ও আমাদের খেলা তো চলবে। উষ্ণায়নের এই সময় গরম আরও বাড়বে, আমরা তো খেলা বন্ধ করতে পারতেছি না।’

‘আমাদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এটাকে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটা জানতে হবে, সতর্কতা দিয়ে আমরা এটাকে ঠেকাতে পারব। আমরা প্রতিবছরই এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুইটা সময় আমরা খেলাতে স্ট্রাগল করি, কারণ হচ্ছে হিট ও হিউমিনিটি’, আরও যোগ করেন বিসিবির এই চিকিৎসক।

ওয়ার্কশপ শেষে প্রশিক্ষক ও অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ফটোসেশন

দেবাশীষ আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের নিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে যারা আছেন– আম্পায়ারিং, গ্রাউন্ডস... এসব বিভাগ এবং বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে বসিয়ে দেওয়া। বিভিন্ন ক্লাবের যে সাপোর্ট স্টাফরা আছেন, যারা এটাকে ডিল করে ফিজিও, ট্রেনার, কোচ এদের সবাইকে একসঙ্গে এনে আমরা এই বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো দিচ্ছি যে কীভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। পুরোপুরি পারব না, কিন্তু এ গাইডলাইনগুলো ফলো করলে আমরা হয়তোবা পারফরম্যান্সের দিক থেকে ভালো করব এবং অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাব। অসুস্থতা কমে আসবে এবং পারফরম্যান্স ভালো হবে।’

উল্লেখ্য, গরমের কারণে ডিপিএলের সুপার লিগের ম্যাচগুলো হচ্ছে বিরতি দিয়ে। গত ২২ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়িয়েছে প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচ। দ্বিতীয় রাউন্ড হবে ২৫ এপ্রিল থেকে। এবারের সুপার লিগে উঠেছে– আবাহনী লিমিটেড, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স এবং প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রতি রাউন্ডেই তিনটি করে ম্যাচ রয়েছে।

এসএইচ/এএইচএস