টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডের এক পজিশনের ক্রিকেটার নিয়ে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে। বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী থাকলেও, সেখান থেকে সুযোগ পেতে পারেন কেবল দুয়েকজন। ঋষভ পান্তও সে তালিকায় আছেন। আগের ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারায় তার সমালোচনা হয়েছিল। সেই দাগ মুছতে এবার ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। অপরদিকে আইপিএলে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন মোহিত শর্মা।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ (বুধবার) মুখোমুখি হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ২২৪ রান সংগ্রহ করেছে। যেখানে স্বাগতিকদের ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পান্ত। ২০৪ স্ট্রাইকরেটে তিনি করেছেন ৮৮ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেলের ৬৬ এবং শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবসের ঝোড়ো ছোট ক্যামিওতে বড় পুঁজি পেয়ে যায় দিল্লি।

তবে দিল্লির শুরুটা ভালো ছিল না। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের কেউই রান পাননি। যদিও দুজনেই ঝোড়ো তাণ্ডবের ইঙ্গিত দিয়ে শুরুটা করেছিলেন। পৃথ্বী ৭ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ২৩ রান করেন ম্যাকগার্ক। এরপর ক্রিজে এসে ব্যর্থ সাই হোপ (৫)। পান্তকে সঙ্গ দিয়ে চাপের মুখে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন অক্ষর প্যাটেল। ৪৩ বলে ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন প্যাটেল।

একপ্রান্ত আগলে রাখা পান্ত মূল ঝড়টা তুললেন শেষ কয়েক ওভারে। যেন একেবারে চেনা বিধ্বংসী মেজাজেই তিনি ফিরলেন। মোহিত শর্মার শেষ ওভারেই শুধু ব্যাট হাতে তুললেন ৩০ রান। শেষ পাঁচটি বলের চারটিতে মারলেন ছক্কা, একটি চার। ৫টি চার এবং ৮টি ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তিনি করলেন ৪৩ বলে ৮৮ রান। এছাড়া ৩টি চার এবং ২টি ছক্কায় ত্রিস্টান স্টাবস খেললেন ৭ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। পান্ত-স্টাবস মিলে শেষ চার ওভারে দিল্লি যোগ করল ৯৭ রান। যা চলতি আইপিএলে শেষ চার ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড, সবমিলিয়ে দ্বিতীয়।

দিল্লির এমন ঝড়ের ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই খরুচে ছিলেন গুজরাটের বোলাররা। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন পেসার মোহিত শর্মা। ৪ ওভারে উইকেটশূন্য এই বোলার দিলেন ৭৩ রান। যা আইপিএলের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। আগে ওই রেকর্ডটি ছিল বাসিল থাম্পির দখলে। হায়দরাবাদের হয়ে ২০১৮ আসরে তিনি ৪ ওভারে ৭০ রান দিয়েছিলেন। এছাড়া যশ দয়াল ৬৯ এবং রিচ টপলি খরচ করেছেন ৬৮ রান।

গুজরাটের বোলারদের মধ্যে এদিন সফলতম বোলার সন্দীপ ওয়ারিয়র, ৩ উইকেট নিলেন মাত্র ১৫ রান খরচায়। নুর আহমেদ ৩৬ রানে ১ উইকেট নেন। ৩৫ রান খরচ করেও উইকেট পাননি রশিদ খান।

এএইচএস