ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে মাঠে নামলেও টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশ দলের। এবারই প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে এই মাঠে খেলতে নেমেছে টাইগাররা। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের জন্য প্রথম টেস্ট নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকে গড়িয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনেও সে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে দায়িত্ব নিতে হবে টাইগার ব্যাটসম্যানদের।

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের সংগ্রহ ২৯১ রান। যেখানে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। দিনভর সফরকারী বোলারদের শাসন করেছেন তারা। দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক জন লুইস জানালেন, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশকে।

বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসে জন লুইস জানান, ‘আমাদের তৈরি থাকতে হবে। আমার মনে হচ্ছে এটি প্রথম টেস্টের প্রতিচ্ছবি। উইকেট ভালো ছিল, আমরা চাপ তৈরি করেছিলাম তবে শ্রীলঙ্কা তা দক্ষতার সঙ্গে সামলেছে। এখান থেকে আমরা শিখে সেটি কাজে লাগাতে চাইব। মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা বড় সংগ্রহের পথে হাঁটবে। আমাদের আরও দুই সেশন ফিল্ডিং করতে হতে পারে।’

ক্যান্ডির মরা উইকেটে বিন্দুমাত্র ঘাসের ছোঁয়া নেই। ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমতো স্বর্গ বলা যায়। তবুও দিনের শুরুতে আলো ছড়িয়েছেন টাইগার পেসাররা। বাউন্সের সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছেন তাসকিন আহমেদরা। তবে দিন শেষে অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম বাদে সবাইকে উইকেট খরায় ভুগতে হয়েছে।

দিনের খেলা শেষে জন লুইস বলেন, ‘এটা হতাশাজনক। বোলারদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু এই উইকেটের বোলারদের জন্য একেবারেই সহায়ক নয়। এই সিরিজে আমরা পাঁচ বোলার খেলাচ্ছি। উইকেটের ধরনের হিসেবে সেটি ভালো সিদ্ধান্ত।’

সঙ্গে যোগ করেন লুইস, ‘আজ খুব বেশি সুযোগ আসেনি। এমনকি দুই টেস্টই একই অবস্থা। সুযোগ তৈরি করা কঠিন হচ্ছিল। বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগ লুফে নেওয়া তাই গুরত্বপূর্ণ।’

টিআইএস/এমএইচ