আমেরিকার পারফরম্যান্সে বিস্মিত নন ‘বাংলাদেশি’ প্রিন্স
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আমেরিকা মিশনের শুরুটা অত্যন্ত বাজেভাবে হয়েছে। স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট প্লেয়িং দেশের এমন হারে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বিস্মিত হলেও, মোটেও অবাক হননি সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার গোলাম নওশের প্রিন্স।
প্রিন্স ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। গত দুই বছরেরও বেশি সময় তিনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স কমিটির সদস্য। গতকাল ভেন্যুতে বসেই আমেরিকার জয় ও বাংলাদেশের পরাজয় দেখেছেন। ম্যাচ শেষে আমেরিকা থেকে প্রিন্স প্রতিক্রিয়া জানালেন এভাবে, ‘আমেরিকা টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে। এটা আমি বেশ কয়েকবারই বলেছি। ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া সিং (হারমিত) ছক্কা হাঁকাতে সিদ্ধহস্ত। সেটা আজ (গতকাল) আবার দেখিয়েছে। আমেরিকার এমন জয়ে আমি মোটেও বিস্মিত নই।’
বিজ্ঞাপন
খেলাধুলায় হার-জিত থাকেই। তবে গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ও নিবেদন নিয়ে প্রিন্সের পর্যবেক্ষণ, ‘বাংলাদেশ টস হেরেছে এটা একটা বিষয়। শুরুর দিকে পিচ স্লো থাকায় ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। এতে ভালো হয়নি সামগ্রিক পারফরম্যান্সও। এই ধাক্কা থেকে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এটা এক প্রকার জেগে ওঠার মতো পরিস্থিতি।’
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ওয়ানডে খেলেছিল ১৯৯৪ সালে। আইসিসি ট্রফিতে সেই ওয়ানডেতে ছিলেন প্রিন্স। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল। ত্রিশ বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক অগ্রসর হলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচেই তারা আমেরিকার কাছে হারল। তিন দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই ম্যাচেরই সাক্ষী প্রিন্স, ‘ওই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আমিই ছিলাম একমাত্র পেসার। সেই ম্যাচ জিতেছিলাম। আজ (গতকাল) একটি হার দেখলাম। সাক্ষী হলাম দুই অনুভূতিরই। তবে সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে হার দেখাটা কষ্টেরই।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড়ের এখন আনুষ্ঠানিক পরিচয় আমেরিকান ক্রিকেট কমিটির সদস্য। টেস্ট প্লেয়িং দেশকে হারিয়ে আমেরিকার ক্রিকেট সঠিক পথেই রয়েছে এমন নির্দেশনা বহন করে। এই প্রসঙ্গে প্রিন্স বলেন, ‘আমেরিকার ক্রিকেট উন্নয়নের পথে। এখনও আমার সঙ্গে আমেরিকার চিফ সিলেক্টর। আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করি।’
প্রিন্স আমেরিকার ক্রিকেট কমিটিতে স্বেচ্ছামূলক কাজ করেন। যখন বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন তখনও তেমন অর্থ কড়ি পেতেন না। ক্রিকেটকে ভালোবেসেই জীবনকে কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি, ‘পড়ালেখা ও খেলা দুটোরই সমান গুরুত্ব দিয়েছি। ক্রিকেট দিয়ে অর্থ উপার্জনের খুব বেশি চাপ ছিল না পারিবারিক কারণে। এখানে (আমেরিকার ক্রিকেট বোর্ডে) কাজ করছি ক্রিকেটকে ভালোবেসে ও সম্মানে।’
এজেড/এএইচএস