টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে তৃতীয় শিরোপার লক্ষ্যে তারা যে বেশ প্রস্তুতি নিয়েই নামছে, সেটাই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে প্রমাণ দিয়েছে। বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে শেষ করেছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি। যার সুফল ক্রিকেটাররা যেমন পেয়েছে, তেমনি দলীয়ভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের উন্নতি হয়েছে।

আগামী ২ জুন থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তার আগমুহূর্তে আজ (বুধবার) ফরম্যাটটিতে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে দুই ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে রভম্যান পাওয়েলের দলটি। উইন্ডিজদের রেটিং পয়েন্ট বর্তমানে ২৫৪। তাদের কাছে ধবলধোলাই হয়ে চার থেকে ৩ ধাপ পিছিয়ে সাত নম্বরে নেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা (রেটিং পয়েন্ট ২৪৪)।

এ ছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে পাকিস্তানও। বাবর আজমের দলটি প্রোটিয়াদের সমান ২৪৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত থেকে ছয়ে উঠে এসেছে। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীষ তিন দল যথাক্রমে ভারত (২৬৪), অস্ট্রেলিয়া (২৫৭) ও ইংল্যান্ড (২৫৪) ধরে রেখেছে তাদের অবস্থান। এ ছাড়া চারে থাকা নিউজিল্যান্ড (২৫০) তাদের আগের অবস্থানেই বহাল আছে।

টি-টোয়েন্টিতে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ খোয়ালেও বাংলাদেশ তাদের আগের অবস্থান নয় নম্বর ধরে রেখেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের রেটিং পয়েন্ট ২২৬। তাদের সামনে আট নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার রেটিং পয়েন্ট ২৩২। এ ছাড়া ২১০ রেটিং নিয়ে ১০ নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সুবাদে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররাও। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৫৯ রান করে ব্র্যান্ডন কিং ৫ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮ নম্বরে। জনসন চার্লস এগিয়েছেন ১৭ ধাপ, অবস্থান ২০ নম্বরে। বাঁ-হাতি কাইল মায়ার্স ১২ ধাপ এগিয়ে ৩১ নম্বরে আছেন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন গুদাকেশ মোতি। সিরিজ শুরুর আগে ১০০–এর বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৭তম স্থানে উঠে গেছেন।

এএইচএস