মনে রাখার মতো এক সিরিজ পার করছেন তামিম ইকবাল। শতরান আসেনি তার ব্যাটে। কিন্তু এবার শ্রীলঙ্কা সফরে যে তিন ইনিংসে নেমেছেন, প্রতিটিতেই এসেছে হাফসেঞ্চুরি। শনিবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও কথা বলছে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট। তামিমের দৃঢ়তার পরও লাঞ্চ বিরতিতে স্বস্তি নেই বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে।

থাকবেই বা কী করে! তামিম এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যদিকে যে নেই ২ উইকেট। সম্ভাবনা দেখিয়ে ফিরেন সিরিজে ব্যর্থ সাইফ হাসান। নাজমুল হোসেন শান্ত তো পত্রপাঠ বিদায়। সব মিলিয়ে ক্যান্ডি টেস্টে তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে রান ২৭ ওভারে ২্উইকেটে ৯৯। তামিম ৭০ রানে ব্যাট করছেন। এর আগে শনিবার সকালেই পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ এখনও ৩৯৪ রান পিছিয়ে।

সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি ( ৯০ ও ৭৪ রান) করেছিলেন তামিম। এবারও সেই একই ছন্দে দেশসেরা ব্যাটসম্যান। প্রথম সেশনেই ৫৭ বল খেলে ৮ চারে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩১তম টেস্ট ফিফটি। 

এদিন তামিমকে বেশ সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাইফ হাসান। বেশ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আগের টেস্টে ০ ও ১ রানে ফেরা এই ওপেনার। কিন্তু সেই সম্ভাবনার মৃত্যু মাত্র ২৫ রানে। তামিমের সঙ্গে ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বিদায় নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ৬২ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়। প্রবীণ জয়াবিক্রমার বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ক্যাচ তুলে দেন সাইফ।

হতাশ করে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনি টানা দ্বিতীয়বার ডাক মারলেন। চার বল খেলে রমেশ মেন্ডিসের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন লাহিরু থিরিমান্নের হাতে।

এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট চালিয়ে সংগ্রহটাকে বড় করতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ছন্দে থাকা তাসকিন আহমেদ সেটি হতে দেননি। তিনি রমেশ মেন্ডিসকে ফেরাতেই ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ১২৭ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন। এটিই এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ১ম ইনিংসে ১৫৯.২ ওভারে ৪৯৩/৭ ডিক্লে. ; বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ২৭ ওভারে ৯৯/২ (তামিম ৭০*)। 

#তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত

এটি/এনইউ