তাইজুল ইসলামের পঞ্চাশতম বল সেটি। মাত্র আট রান করেছেন তিনি। আউট হলেন অদ্ভুতভাবে। লাকমালের বলে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ব্যাক ফুটে গিয়ে। পা থেকে জুতা খুলে গিয়ে লাগল স্টাম্পে। হিট উইকেটে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরলেন তিনি। নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের ফলোঅনে পড়া। 

এই আউটটা তো ব্যতিক্রম। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে বল টার্ন করা শুরু করতেই যে এক টেস্ট পরই বেরিয়ে এলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘কঙ্কাল’। পড়তে হলো ফলো অনের লজ্জায়, যদিও বাংলাদেশকে সেটি করতে হয়নি শ্রীলঙ্কার চাওয়ায়। 

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একদিনে খেলতে পারেননি এক ইনিংসও। সকালে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করা স্বাগতিকরা বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে করেছে ১৭ রান। লিড নিয়েছে ২৫৯ রানের।

অথচ সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে কী দারুণ শুরুই না করেছিলেন তামিম ইকবাল। ‘নড়বড়ে’ সাইফ হাসান অবশ্য নিজের রূপ বদলাতে পারেননি এদিনও। তবুও দুজনের জুটিতে এসেছিল ৯৮ রান। তাতে অন্তত ফলোঅনে পড়তে হবে না এইটুকু ভাবনা বাড়াবাড়ি ছিল না। 

কিন্তু সাইফের বিদায়ের পরই আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থ হলেন আরেকবার। টানা দুই ইনিংসে সাজঘরে ফিরলেন শূন্য রানে। ৪ বলে ০ রানে সাজঘরে শান্ত এদিন ফেরত গেছেন রামেশ ম্যান্ডিসের বলে। এরপর মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম যা করেছেন, কেবলই ‘মান বাঁচানোর মতো’।

৭ চারে ১০৪ বলে ৪৯ রান করে মুমিনুল আর ৬২ বলে ৪০ রান করে মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর অবশ্য সেটাও বাঁচেনি। ৩৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে পড়তে হয়েছে ফলোঅনে। ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। থেমেছে লঙ্কানদের চেয়ে ২৪২ রানে পিছিয়ে থেকে।

শেষ বিকেলে খেলতে নেমে অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কাও। স্বাগতিকদের দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন তাইজুল ও মিরাজ। লাহিরু থিরিমান্নেকে ২ রানে স্লিপে শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন মিরাজ। ওশানা ফার্নান্দো লিটন দাসের হাতে ১ রানেই ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তাইজুলের বলে।

এমএইচ/এটি