ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন, তার আগে থেকেই বেশ ফর্মে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়ে শুরু, এরপর কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রানতাড়া করে জয়। এবার আগে বোলিং করে তারা পাকিস্তানকেও শুরুতে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বাবর আজম ও শাদাব খানের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তারা ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে।

এবারের বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ম্যাচ মানেই টস জিতে আগে ফিল্ডিং। শুরুতে ব্যাটিং করা দলকে প্রায়শই নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে। ডালাসের গ্র‌্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামেও আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় স্বাগতিকরা। শুরু থেকেই পেসার সৌরভ নেত্রভালকার ও আলী খানরা ফখর জামানদের নাজেহাল করেছেন। সেখান থেকে বড় রানের শঙ্কায় থাকা পাকিস্তানকে টেনে নিয়েছেন বাবর (৪৪) ও শাদাব (৪০)।

ম্যাচটিতে পাকিস্তানের টপ অর্ডাররা কেমন ধুঁকেছে, সেটি পাওয়ার প্লেতে নজর রাখলেই টের পাওয়া যায়। ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতেই তারা তিন উইকেট হারিয়ে বসে। যার শুরুটা হয় ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দিয়ে। নেত্রভালকারের বলে স্লিপে ঝাপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন স্টিভেন টেলর। রিজওয়ান ফেরেন মাত্র ৯ রানে, বাবর তখনও রানের খাতা খোলেননি। এরপর তৃতীয় ওভারে আউট উসমান খানও। ৩ রানে তাকে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতেন নশতুষ কেনজিগে। 

ফখর জামানকে ফিরিয়ে সেই আনন্দ দ্বিগুণ করেন কেনজিগে। ৬ হাঁকিয়ে ফখর বিপর্যয় সামলানোর ইঙ্গিত দিলেও থামেন ১১ রান (৭ বল) করে। পাকিস্তানের ইনিংস মেরামতের পুঁজি আসে চতুর্থ উইকেট জুটিতে। বাবর–শাদাব মিলে ৭২ রানের জুটি বাধেন। বাবরের ধীরগতির ইনিংসের পাশে বিপরীতমুখী ঝড় তোলেন শাদাব। তার বিদায়ে রানের চাকায় খিল ধরে। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ১টি চার ৩টি ছক্কায় ৪০ রান করেন শাদাব।

পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলেন এই বাঁ–হাতি এই স্পিনার। শাদাবের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে কেনজিগের বলে এলবিডব্লু আজম খান, তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। রিভিউ নিয়েও সফল হননি সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে সমালোচিত এই ব্যাটার। ফিফটি পূূর্ণ করার আগে বিদায় ঘটে পাক অধিনায়ক বাবরেরও। ৪৩ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় তিনি ৪৪ রান করেন।

এ ছাড়া শেষদিকে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। এই টেলএন্ডার ১৬ বলে ২৩ এবং ইফতিখার আহমেদ করেন ১৪ বলে ১৮ রান। তাতে ১২০–৩০ এ থেমে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা পাকিস্তানও দেড়শ পেরিয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন কেনজি। এ ছাড়া নেত্রভালকার ২টি এবং আলী খান ও জাসদিপ সিং একটি করে শিকার ধরেন।

এএইচএস