পরিসংখ্যান বলছিল সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলীয় সংগ্রহের গড় ১৪০–এর আশপাশে থাকবে। তবে ভেন্যুটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে এই সংস্করণের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২১৮ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজও (বৃহস্পতিবার) শুরুটা সেভাবেই করেছিল স্বাগতিকরা, তবে শেষটা কাঙ্ক্ষিত কি না সেটি সময়ই বলে দেবে। ১০ ওভারে ৮২ রানে উইকেটশূন্য থাকা ক্যারিবীয়রা নির্ধারিত ওভারে ইংল্যান্ডকে ১৮১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলীয় সংগ্রহ দুইশ উঠেছে তিনবার, তার মধ্যে দুটিই এসেছে গ্রস আইলেটের ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামটিতে। ফলে রান ওঠার আভাস নিয়েই আজ সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও ক্যারিবীয়রা হোঁচট খায় ওপেনার ব্রেন্ডন কিং রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ওঠে যাওয়ায়। মাঝে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের পর শেষে ঝড় তুলেছেন রভম্যান পাওয়েল (১৭ বলে ৩৬) ও শেরফান রাদারফোর্ডরা (১৫ বলে ২৮)। তাতে স্বাগতিকরা ৪ উইকেট হারিয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে গেছে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে উইকেটশূন্য থেকে পাওয়েলের দল তোলে ৫৪ রান। ওপেনার জনসন চার্লস সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও, একপ্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন ব্রেন্ডন কিং। ১৩ বলে ৩টি চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করতেই তার অস্বস্তি শুরু। পরে ফিজিও এলেও সেরে না ওঠায়, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। সেখান থেকে বড় সংগ্রহের দিকে নেওয়ার তাগিদ রেখেই ব্যাটিং করতে থাকে চার্লস-নিকোলাস পুরান জুটি। ধীরে ধীরে তাদের ব্যাটিংয়ে আদিল রশিদরা লাগাম পরাতে শুরু করেন, তবুও ১১ ওভারেই উইন্ডিজরা ৯০–এর ঘরে পৌঁছে যায়।

স্ট্রাইক রোটেট করতে বেশ ধুঁকছিলেন চার্লস (৩৪ বলে ৩৮), তাকে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ বানিয়ে সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেন মঈন আলি। পুরানের ইনিংস–ও ঠিক তার সঙ্গে মানানসই ছিল না, আগের ম্যাচে ৯৮ রান করা এই বিধ্বংসী ব্যাটার অবশ্য শুরুতে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ক্রমেই ধীরগতির হতে থাকে, অবশ্য পাওয়েল আরেক প্রান্তে বাউন্ডারি খেলায় সেভাবে প্রভাব পড়ছিল না দলীয় সংগ্রহে। এক উইকেটে ১৩৭ রান করা উইন্ডিজরা পরের ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। 

১৭ বলে পাঁচটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন পাওয়েল। অবশ্য তাকে ফর্মে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন পার্টটাইম স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন। তার এক ওভারে তিনটি ছয় মারার পর শেষ বলে বিদায় নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। মাঝে পুরান (৩২ বলে ৩৬) এবং আন্দ্রে রাসেল মাত্র ১ রানে আউট হয়ে যান। তবে তাদের বড় লক্ষ্য গড়ার পথে শেষদিকে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন রাদারফোর্ড। ১৫ বলে একটি চার ও দুটি ছয় হাঁকান তিনি।

ইংলিশদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ, মঈন আলি, জফরা আর্চার ও লিভিংস্টোন।

এএইচএস