টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে আজ সকালেই বাংলাদেশ দল বিদায় নিয়েছে। শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ হওয়া শান্তর দল আফগানিস্তানের কাছেও হেরে গেছে। এমন দিনে ক্রিকেটাঙ্গনে শোক আরো বেড়েছে। ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদ মাসুদ পাইলট আজ সকালে মাকে হারিয়েছেন। পাইলট নিজেই তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

খালেদ মাসুদ পাইলটের মা নার্গিস আরা বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাদ এশা রাজশাহীর টিকাগা ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পাইলট তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। 

পাইলট বাবাকে হারিয়েছেন সাত বছর আগে। ২০১৭ সালে পুকুরে ডুবে পাইলটের বাবা শামসুল ইসলাম মোল্লা ইন্তেকাল করেছিলেন। পাইলট এখন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের পরিচয়ে পরিচিত হলেও ক্রীড়াঙ্গনে তিনি ফুটবলার শামসুর ছেলে হিসেবেই স্বীকৃত। সত্তর দশকে তুখোড় ফুটবলার ছিলেন শামসু। আবাহনীর অন্যতম স্ট্রাইকার ছিলেন। যোগ্যতা দিয়ে পাকিস্তান আমলে যুব দলে ডাকও পেয়েছিলেন। 

ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনের সাথেই ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা অফিসে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন। চাকরিরত ও অবসরের পরেও রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন ৷ পাইলটও বাবার মতো রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করছেন। ক্লেমন একাডেমি থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেক ক্রিকেটার উঠে আসছে। 

এজেড/এফআই