স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইমরুল কায়েস

জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসের জন্য এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন। অনেক আক্ষেপের ভিড়েও স্বস্তি আছে জাতীয় দলে ফেরার। লাল-সবুজের জার্সিখানা আবার গায়ে চাপাতে চেষ্টার কমতি রাখেননি তিনি। বারবার উপেক্ষিত থাকার পর এবার সুযোগ মিলেছে প্রাথমিক দলে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে মূল স্কোয়াডে থাকবেন কীনা সেটি নিয়েও শঙ্কা আছে। তবে জাতীয় দলের অংশ হয়েই ঈদের ছুটিতে ইমরুল। মহামারির মধ্যে ঈদ হওয়ায় বাড়তি পরিকল্পনা নেই তার।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে ঈদ নিয়ে কথা বলার শুরুতেই উঠে আসে জাতীয় দলের প্রসঙ্গ। রোমাঞ্চিত ইমরুল বলেন, ‘জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর অনুভূতি একেবারে ভিন্ন। এটা প্রকাশ করার মতো না। আগে যখন দলে নিয়মিত ছিলাম, তখন একরকম অনুভূতি ছিল, এখন অনেকদিন পর ফিরেছি, কেমন লাগছে বলে বোঝাতে পারব না। রোমাঞ্চকর।’

রোজার ঈদের জন্য জাতীয় দল থেকে ছুটি পেয়েছেন ইমরুল। তবে বাড়তি কোনো পরিকল্পনা রাখেননি করোনাভাইরাসের কারণে। মূল দল ঘোষণার আগে করোনা পজিটিভ হলে ন্যূনতম সুযোগটিও হারাবেন। এজন্য বাড়তি সতর্ক তিনি। বাংলাদেশে থাকলে প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে নিজ জেলা মেহেরপুরে ছুটে যান ইমরুল। এবার সুযোগ থাকলেও ঝুঁকি নেননি।

ইমরুল বলেন, ‘আসলে ইচ্ছে তো করে গ্রামে গিয়েই ঈদ করি। সেখানে সবাই আছে, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধব। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির আর বাস্তবতা তো মানতে হবে আমাদের। করোনাভাইরাস যেহেতু আবার নতুন করে ভোগাচ্ছে, সঙ্গে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প চলছে, এবার আর গ্রামে যাচ্ছি না। পরিবারসহ ঢাকাতেই করব ঈদ।’

২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে প্রায় এক মাসের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইমরুলের বাবা বানি আমিন বিশ্বাস। সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেননি তিনি। গত বছরের ১৯ এপ্রিল মারা যান। বাবার মৃত্যুর এক বছর পার হয়ে গেছে। তাকে ছাড়া শুধু ঈদ নয়, সবকিছুই শূন্য লাগে ইমরুলের।

বাবার কথা উঠতেই আবেগী ইমরুল বলেন, ‘বাবাকে হারিয়েছি এক বছর হয়ে গেছে। তার শূন্যতা সবসময়ই অনুভব করি। গত বছর বাবাকে ছাড়া মেহেরপুরেই ঈদ করেছিলাম। এবার ঢাকাতেই করতে হচ্ছে।’

ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘ঈদের জামাতের জন্য বাইরে কোথাও যাচ্ছি না। আমরা যে বিল্ডিংয়ে থাকি, এখানে নামাজ জামাতের সঙ্গে হয়। এবার ঈদের জন্য আলাদা জামাত হবে। পরিকল্পনা আছে এখানেই পড়ব। এবার আর বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছি না।’

টিআইএস/এটি