চাপের কথা স্বীকার করে নিলেন মুশফিক
বাংলাদেশ ক্রিকেট যেন হয়ে পড়েছে চার স্তম্ভের। মাশরাফি বিন মুর্তজা না থাকায় দলের দায়িত্ব উঠেছে সিনিয়র সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উপর। দীর্ঘদিন ধরে পারফর্ম করে দলকে টেনে নিয়ে আসছেন তারা। এই চার ক্রিকেটার একসঙ্গে ব্যর্থ হলে মুখ থুবড়ে পড়ছে গোটা দল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজ শুরুর আগেই আলোচনায় ছিলেন লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। তবে সেটি ইতিবাচক নয় আদৌ। লিটন চলতি বছর আট ইনিংসে করেছেন মোটে ১০১ রান, রানের খাতা খুলতে পারেননি তিন ইনিংসে। মিঠুন ২০২১ সালে খেলেছেন চার ইনিংসে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঝোড়ো ৭৬ রানের ইনিংসটি বাদে দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি বাকি তিন ইনিংসে। প্রথম ওয়ানডেতে ফিরেছেন শূন্য রানে, হারিয়েছেন দলে জায়গাটাও। তার জায়গায় যিনি এসেছেন, সেই মোসাদ্দেকও আটকে গেছেন ব্যর্থতার কানাগলিতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ব্যক্তিগত ১০ রানে।
এ নিয়ে প্রশ্নও উঠছে বেশ। তবু টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছে তাদের উপর। লিটন-মিঠুনরা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হলে সিনিয়রদের উপর যে চাপ বেড়ে যায়, সেটি স্বীকার করেন নিলেন মুশফিক।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শতক হাকিয়ে এক ভিডিও বার্তায় মুশফিক বলেন, ‘যদি একটি দলে ৭-৮ জন ধারাবাহিক পারফর্মার থাকে তাহলে এটি যেকোনো দলের জন্যই বাড়তি মাত্রা। আজকে তামিম-সাকিব দ্রুত আউট হয়ে গেছে, যারা নিয়মিত ভালো করে। লিটন, আফিফ, মোসাদ্দেকদের সুযোগ ছিল। তারা চেষ্টা করেছে। আরেকটু সিলেক্টিভ হলে ওরা ভালো করতে পারবে।’
লিটন-মিঠুনদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার ৬ বছরের উপরে। সে হিসেবে তাদেরও অভিজ্ঞ না বলে উপায় নেই। বাস্তবতা হিসেব করলে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরেই বিদায় বলবেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদরা। লিটন, মিঠুন, সৈকতরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে না নিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আগামী যে ভালো পথ দেখাবে না সে দাবি করাই যায়।
বিজ্ঞাপন
টিআইএস/এনইউ