‘দেশের ক্রিকেটে সেরা আম্পায়ার’ তকমা ছাপিয়ে গত বছরই শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টেও সাফল্যের সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি। আম্পায়ারিং করেছেন বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের মতো মর্যাদার টেস্ট সিরিজেও। বিশ্বক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সেই সৈকত বিসিবির চাকরি ছাড়তে চাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ওঠে। 

সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সিসিডিএমের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন দেশসেরা এই আম্পায়ার। আর তারই প্রেক্ষিতে ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চাকরি ছাড়তে চেয়ে পত্র দিয়েছেন বলেও জানা যায়। যার কারণে আজ (বুধবার) আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।

পরে ঢাকা পোস্টকে দেওয়া মন্তব্যে সৈকতের সঙ্গে তিনি ফলপ্রসূ আলোচনার হয়েছে বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ে থাকছেন সৈকত! কেবল তাই নয়, তাওহীদ হৃদয়কে দেওয়া শাস্তিও বলবৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আম্পায়ার সৈকতের পদত্যাগ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘পদত্যাগের কথা হয়নি। যে পরিস্থিতি হয়েছে সৈকতসহ আম্পায়াররা একটু অসস্তুষ্ট ছিল। তাই তাদের ডেকে আমরা কথা বললাম। ক্রিকেট বোর্ডের স্ট্যান্ড হচ্ছে জিরো টলারেন্স। আমরা সিসিডিএমের যে নিয়ম আছে সে নিয়মের মধ্যে থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রসঙ্গত, আম্পায়ারের সঙ্গে অসাদাচরণের দায়ে ডিপিএলের সুপার লিগের ম্যাচে ডিমেরিট পয়েন্ট এবং আর্থিক জরিমানার শাস্তি হয়েছিল হৃদয়ের। বিসিবির কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী, ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য ক্রিকেটারদের ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন হৃদয়। যদিও পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট তুলে নেওয়া হয়। ফলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কমে যায় তার। আর এই বিষয় নিয়েই ক্ষুব্ধ ছিলেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। 

এসএইচ/এএইচএস