চলতি মাসে আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান হেনরিখ ক্লাসেন। দারুণ ছন্দে থাকার পরেও ৩৩ বছর বয়সেই জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেন সময়ের অন্যতম সেরা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এর আগেই অবশ্য নিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। 

তখন নানা কথা চালু হলেও ক্লাসেন অবসর নেবেন, এমন ধারণা ছিল না কারোরই। তবে চলতি মাসে সেটাই হলো। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার এক পত্রিকার সঙ্গে আলাপে জানালেন অবসর নেয়ার অন্য কারণ। কোচ রব ওয়াল্টারের পদত্যাগই নাকি সহজ করেছে ক্লাসেনের অবসরের সিদ্ধান্ত। 

ক্লাসেন বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে রব-এর সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়। তখনই বলেছিলাম, আমার মন থেকে ভালো লাগছে না। আমি খেলা উপভোগ করছিলাম না। আমরা বিশ্বকাপ ২০২৭ পর্যন্ত একটা সুন্দর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু যখন সে কোচিং ছেড়ে দিল এবং বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা ঠিকঠাক এগোল না, তখনই সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে গেল।'

জাতীয় দলকে বাইরে রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্লাসেনকে ছাড়তে আপত্তি ছিল না রব ওয়াল্টারের। আইপিএল, এসএ২০, দ্য হান্ড্রেড, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় ক্লাসেন চাইলেই খেলতে পারতেন। কিন্তু গেল মাসে চাকরি ছেড়ে দেন রব ওয়াল্টার। লাল বলের কোচ শুকরাড কনরি চলে আসেন তিন ফরম্যাটের দায়িত্বে। 

নতুন কোচের অধীনে স্বাধীনতা পাচ্ছেন কি না– সেই সংশয় থেকেই হয়ত ক্লাসেনের এই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। এবছর দক্ষিণ আফ্রিকার অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকার কথা রয়েছে ক্লাসেনের। এমন বিষয়ে বোর্ড কর্তারা নাখোশ ছিলেন ক্লাসেনের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই তাই সরেই গেলেন ক্লাসেন। 

এই বিষয়গুলো নিয়ে ক্লাসেন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি আমার পারফরম্যান্স বা দল জিতল কি হারল— কিছুই পাত্তা দিচ্ছিলাম না। এটা ভুল জায়গা ছিল আমার জন্য।’

যদিও এসব ইস্যুর জন্য কোচ শুকরাড কনরিকে কোনোভাবেই দায় দিতে চান না ক্লাসেন, ‘শুকরি কনরাড প্রোটিয়াদের সব সংস্করণের কোচ হওয়ার আগেই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই ভালো।’ 

জেএ