শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। ব্যাটসম্যান মিরাজকে নিয়ে অভিযোগ আছে ঢের। সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকেই কি বেছে নিলেন মিরাজ?

এবার ডিপিএলে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির হয়ে খেলছেন তিনি। বল হাতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছেন না বটে, ৬ ম্যাচে তার দখলে মাত্র ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে রান পাননি প্রথম দুই ম্যাচেও। ১৪ ও ১২ রান করে আউট হন। পরে চার ম্যাচে এক ফিফটিতে ১২৯ রান। টি-টোয়েন্টি মন্দ নয় একেবারে। আজ তার অপরাজিত ৪০ রানের কল্যাণে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হারিয়েছে খেলাঘর।

ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে খেলাঘর। অধিনায়ক মিজানুর রহমান ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে থামেন ৬৬ রানে। ৬১ বলের ইনিংসটি সাজান ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দীকী আউট হন ১৯ রান করে। পাঁচ নম্বরে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন রাহাতুল ফেরাদোস।

সঙ্গে অপরাজিত ব্যাটসম্যান আলাউদ্দিন বাবুর ৭ বলে ১৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো ব্রাদার্সের ইনিংস থামে ১৩৪ রানে। খেলাঘরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন মিরাজ।

১৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে দলীয় ৫ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খেলাঘর। সেখান থেকে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মিরাজ। অধিনায়ক জহুরুল হকের সঙ্গে গড়েন ৫৮ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ২৬ বলে সমান ২৬ রান করে আউট হন জহুরুল।

এরপর রাহাতুলকে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মিরাজ। তবে ১৬ ওভার ২ বল শেষে খেলাঘরের রান যখন ১০৯, তখন বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিকেএসপিতে চলা ম্যাচটি। পরে খেলা আর শুরু না হলে বৃষ্টি আইনে খেলাঘরকে ৫ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। ৪০ বলের ইনিংসটি সাজান সমান ২টি করে চার-ছয়ে। ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন রাহাতুল। ৬ ম্যাচ শেষে এটি খেলাঘরের তৃতীয় জয়।

টিআইএস/এমএইচ