স্টার্কের দ্রুততম ৫ উইকেট, বোল্যান্ডের হ্যাটট্রিকসহ জ্যামাইকায় যত রেকর্ড
টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ২৭ রানে অলআউটের লজ্জায় পুড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা এতটুকু সম্বলই গড়েছে। তাদের বিব্রতকর রেকর্ড গড়ার অপরপ্রান্তে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইতিহাসগড়া বোলিং করেছেন মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডরা। স্টার্ক মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট এবং বোল্যান্ড হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ২ রানেই ৩ উইকেট শিকার করেছেন। সবমিলিয়ে একঝাঁক রেকর্ড হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজদের জ্যামাইকা টেস্টে।
৫/১৫
বিশ্বরেকর্ডই গড়েছেন মিচেল স্টার্ক। ৫ উইকেট শিকারের পথে তিনি মাত্র ১৫টি বল করেছেন। যা টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম ফাইফার। এর আগে ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার আরেক বোলার আর্নে টোশাক (প্রতিপক্ষ ভারত), ২০১৫ সালে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড (প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া) এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোল্যান্ড (প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড) ১৯ বলে ফাইফার পেয়েছিলেন। এতদিন যৌথভাবে দ্রুততম ফাইফারের রেকর্ডটি ছিল এই তিনজনের দখলে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া শেন ওয়াটসন ২১, হাগ ট্রাম্বল ২৩, ভারনন ফিলান্ডার ও জশ হ্যাজলউড সমান ২৫ বলে টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করেছেন।
৪০০
এই টেস্টটি ছিল স্টার্কের শততম ম্যাচ। আর এই ম্যাচেই তিনি ৪০০তম উইকেটের মাইলফলক গড়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ১৯,০৬২টি বল করেছেন, যা টেস্টে চারশ উইকেট শিকারে দ্বিতীয় দ্রুততম। সামনে আছেন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন, ৪০০তম উইকেট শিকারের সময় তার ডেলিভারি ছিল ১৬,৬৩৪।
বিজ্ঞাপন
৯/৬
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯ রানেই ৬ উইকেট শিকার করেছেন স্টার্ক। যা শততম টেস্টে কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে নিজের শততম টেস্টে সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ওই রেকর্ড গড়েন, যা এতদিন শততম টেস্টের সেরা বোলিং ফিগার ছিল।
আরও পড়ুন
৩
ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই তিন উইকেট নিয়েছিলেন স্টার্ক। ১৯ বছরে এই প্রথম টেস্টের প্রথম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার এমন কীর্তি দেখা গেল। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ইরফান পাঠান পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টে হ্যাটট্রিকসহ একই রেকর্ড গড়েছিলেন।
স্টার্কের রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে কেবল ষষ্ঠ দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে ০ রানেই ৩ উইকেট হারায়। এর আগে ২০১৫ সালেও একবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসের প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিয়েছিলেন স্টার্ক। ২০০২ সালের পর তিনিই প্রথম বোলার যিনি টেস্টে দু’বার প্রথম ওভারেই দুই বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।
৩
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে হ্যাটট্রিক করা দশম বোলার স্কট বোল্যান্ড। শেষবার ২০১০ সালে ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পিটার সিডল হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন। টেস্টে এখন পর্যন্ত ১২টি হ্যাটট্রিক পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, এদিক থেকে তারা দ্বিতীয়। সর্বোচ্চ ১৫ বার টেস্টে হ্যাটট্রিক আছে ইংলিশ বোলারদের দখলে।
৭
২৭ রানে অলআউট হওয়ার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ ব্যাটারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যা টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডাক নিয়ে আউটের রেকর্ড। এর আগে টেস্টে ৯ বার ৬ ব্যাটারের শূন্য রানে আউটের নজির ছিল। সর্বশেষ গত মাসেই ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৬ ব্যাটার ডাক নিয়ে ফেরেন।
২৭
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২৭ রানেই গুটিয়ে যায়। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। টেস্টে সর্বনিম্ন ২৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল ৭০ বছর আগে। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সেই লজ্জায় ডুবেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর উইন্ডিজদের টেস্টে আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ৪৭।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের খেলা ১৪.৩ ওভার টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাট করেছিল। এ ছাড়া গত নভেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
এএইচএস