গতবছর বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে রীতিমতো তারকা বনে যান তানজিদ হাসান তামিম। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিতে আছেন তিনি। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও খেলেছেন তামিম। আছেন বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দলে। তবে কোথাও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শুরুর ছয় রাউন্ডেও রানের দেখা পাননি তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ছোট তামিম এবার ডিপিএলে খেলছেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। টুর্নামেন্টের আগের ছয় ম্যাচে নেই কোনও অর্ধশতক, সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন শেখ জামালের বিপক্ষে। আজ (শুক্রবার) রানের দেখা পেয়েছেন তামিম। তার অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শাইনপুকুর।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ওল্ড ডিওএইচএসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান শাইনপুকুর অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। ব্যাট করে নেমে মাত্র ১১৯ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস। দলীয় ২০ রানেই দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও শাহনাজ আহমেদকে হারায় তারা। আসরের সর্বোচ্চ রান স্কোরার মাহমুদল হাসান জয় আজ ইনিংস বড় করেতে পারেননি, ফিরেছেন ২১ রান করে। 

পরে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রাকিব। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি বাকিরা। কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। একপ্রান্ত ধরে রেখে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন রাকিব। তার ৫৭ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১১৯ রান তুলতে পারে ওল্ড ডিওএইচএস। শাইনপুকুরের হয়ে সুমন খান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ২টি করে উইকেট নেন।

১২০ রানের মামুলি লক্ষ্য টপকাতে নেমেও ম্যাচের ভাগ্য শেষ ওভারে নিয়ে যায় শাইনপুকুর। তবে দীর্ঘদিন পর ফিফটির স্বাদ পান বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার তামিম। রবিউল ইসলাম ২ রান করে আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৯০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। হৃদয় ৩২ বলে ২৮ রান করে আউট হওয়ার পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও দ্রুত ফিরে যান। এতে খানিক অস্বস্তিতে পড়ে শাইনপুকুর।

তবে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন তামিম। ৭ রাউন্ড শেষে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। ৫৯ বলে ৭৯ রানের ইনিংসটি তামিম সাজান ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল।

টিআইএস