ইমরুল কায়েস/ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ায় চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শুরুর কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি ইমরুল কায়েস। পরে দুই দফা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ফিরেছেন। আজ (শুক্রবার) প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ফেরাটা সুখকর হয়নি ইমরুল কায়েসের। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে খেলতে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।

এদিন আগে ব্যাট করে বিকেএসপিতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দোলেশ্বরের দুই ব্যাটসম্যান ইমরানুরজ্জান ও বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার শামীম পাটোয়ারি। ইমরান ৪৬ বলে ৬৫ ও মাত্র ১৯ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন শামামী। তবে তাদের ইনিংস ম্লান হয়েছে জিয়াউর রহমান ও তানবীয় হায়দারের ব্যাটে। নাটকীয় ম্যাচে শেষ বলে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

টস জিতে ব্যাট করতে নামে দোলেশ্বর। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের শুরুতেই শূন্য রানে আউট হন ওপেনার ফজলে মাহমুদ। সাইফ হাসানও ২২ রান করে ফিরে যান। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ইমরানুরজ্জান, মার্শাল আইয়ুব ১২ রানে আউট হওয়ার পর ফিফটি করে তিনি জিয়াউর রহমানের শিকার হন ৬৫ রানে। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজান সমান ৪টি চার ও ছয়ের মারে।

শেষদিকে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শামীম। মাত্র ১৯ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস। যেখানে ছক্কা হাঁকান ৫টি, সঙ্গে ২টি চার মারেন তিনি। তার এই মূল্যবান ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেট হারানো প্রাইম দোলেশ্বরের ইনিংস থামে ১৬৬ রানে। শেখ জামালের হয়ে জিয়াউর রহমান ও ইলিয়াস সানি ২টি করে উইকেট নেন।

১৬৭ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৭১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। টপ অর্ডার ও মিড অর্ডারের কেউ দলের হয়ে ভালো করতে পারেনি। সৈকত আলী ১৫, নাসির হোসেন ১৪, সোহান ১৭ ও ইলিয়াস  ৮ রান করেন। করোনা কাটিয়ে মাঠে ফেরা ইমরুল তো খুলতে পারেননি রানের খাতা।

পরে দলের হাল ধরেন তানবীর হায়দার ও জিয়াউর রহমান। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন জিয়া। ৫টি ছয়ের সঙ্গে ১টি চার মারেন তিনি। পরে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান প্রয়োজন পড়লে তানবীরের ব্যাটিংয়ে শেষ বলে জয় পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৩ উইকেটে পাওয়া জয়ে তানবীর অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে।

টিআইএস