ঢাকার ক্রিকেট সেই জৌলুশ হারিয়েছে অনেক আগেই। ঐতিহ্যবাহী দুই দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার দৌরাত্ম্য এখন শুধুই কাগজ-কলমে। নিজেদের সুদিন বেশ আগেই পিছে ফেলে এসেছে মোহামেডান। কি ফুটবল, কি ক্রিকেট! সবখানেই মলিন সাদাকালোরা। তবে দুই দলের মধ্যকার লড়াইটা যখন মর্যাদার থেকে বেশি কিছু, তখন পরিসংখ্যান আর শক্তিমত্তা পাল্লায় তোলা দুষ্কর।

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচটি চলছে আজ, মিরপুরে। মুখোমুখি সাকিব আল হাসানের মোহামেডান ও মুশফিকুর রহিমের আবাহনী লিমিটেড। এই ম্যাচটি ব্যক্তি সাকিবেরও অনেককিছু প্রমাণের। তবে কাজটি যে সহজ নয়, সেটি মাথায় রেখেই আকাশী-নীলদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন সাদাকালো অধিনায়ক।

শের-ই-বাংলায় টস ভাগ্যটা অবশ্য কথা বললো সাকিবের হয়ে। স্লো উইকেটে আগে ব্যাটিং নিতে দুবার ভাবেননি সাকিব। মোহামেডানের ইনিংসের শুরুটা নেহায়েত মন্দ হলো না। যখন সবাই ভেবেই নিয়েছেন পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে কোনও উইকেট হারাবে না মোহামেডান, বিপত্তি বাঁধল তখনই। ৫ ওভার ৪ বলে ভাঙে আব্দুল মজিদ আর পারভেজ হোসেন ইমনের ৩৭ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে সমান ২৬ বলে ২৬ রান করে আউট হন ইমন।

পরে মজিদ ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে ব্যাটিং অর্ডার বদলিয়ে তিনে নামা ইরফান শুক্কুরও একই পথে হাঁটেন ১৪ রান করে। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব এদিন দলের হাল ধরেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না শামসুর রহমান শুভ। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে শুভকে ফেরান আফিফ হোসেন। শুভ ১ রান করে আউট হওয়ার পর মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।

ঐতিহ্যের লড়াই জিততে প্রয়োজন দলের বড় সংগ্রহ। সেটি বড় করতে বাইশ গজে জানপ্রাণ দিয়ে লড়ে যান সাকিব। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে জীবনও পেয়েছিলেন, তবে সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সাকিব। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পরের বলেই ফেরেন ৩৭ রান করে। এটি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৭ বলের ইনিংসটি সাকিব সাজান ১টি চার ও ২টি ছয়ের মারে।

সাকিবের পর শুভাগত হোমও থিতু হতে পারেননি। ১ রানে থাকা শুভাগতকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। শেষদিকে মাহমুদুল হাসানের অপরাজিত ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীয় হয়ে স্বাধীন ৩টি ও বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার সাকিব ২ উইকেট নেন। ম্যাচ জিততে আবাহনীয় প্রয়োজন ১৪৬ রান।

টিআইএস