বিশ্বকাপে আরেকটি ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও তীরে গিয়ে তরী ডোবাল বাংলাদেশের মেয়েরা। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে জিততেও হেরে বসেছে। ২৩২ রান তোলার পর টাইগ্রেসরা এদিন প্রোটিয়াদের বল হাতে চেপে ধরেছিল। তবে ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তারা জিতেছে ৩ উইকেটে। ক্যাচ মিস আর মিসফিল্ডিংয়ে তাদের সাহায্য করেছেন টাইগ্রেসরা!

ম্যাচ শেষে দারুণ লড়াই করা সতীর্থদের নিয়ে গর্ব করেছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। পাশাপাশি আরও ম্যাচ বাকি উল্লেখ করে সাহস জুগিয়েছেন তিনি, ‘আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি। শুরুতে আরও স্ট্রাইক রোটেশন করলে বেশি রান হত। ২৫০ হলে হয়তো সিনারিও ভিন্ন হত। যদি ফিল্ডিংয়ে আরও ভালো এফোর্ট দিতে পারতাম এবং ক্যাচগুলো ধরতে পারলে ভালো হত। আমাদের হতাশ হওয়া উচিত না, কারণ শো মাস্ট গো অন। এখান থেকে সামনের ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে।’

কুয়াশা থাকায় বোলিংয়ে বেগে পেতে হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘বল গ্রিপিং করা কঠিন ছিল। কুয়াশা ছিল বেশি। আমি চেষ্টা করেছি দলের সেরা বোলারদের দিয়ে বল করাতে, যারা ডেথে বল করে। আমার মনে হয় তারা অনেক ভালো বল করেছে। এখান থেকে অনেক শেখারও আছে। সামনে এমন পরিস্থিতিতে আমরা কী করতে পারি।’

শিশিরের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে টসে জিতে আগে কি বোলিং নেওয়া যেত কি না প্রশ্নের জবাবে জ্যোতি বলেন, ‘ব্যাটারদের চাপহীন জায়গায় দিতে চেয়েছি। আগের ম্যাচে চেজে গিয়ে সেভাবে ভালো করতে পারিনি। চেজে সবসময় চাপে থাকে। আজকে কিছু রান যেহেতু তুলতে পেরেছি বোলারদের সামনে সুযোগ ছিল।’

হারলেও অবশ্য ক্রিকেটারদের নিয়ে গর্বিত এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ‘আমি হতাশ না, গর্বিত। যেভাবে মেয়েরা প্রতিটা বলের জন্য লড়াই করেছে। এখানে এসে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ না। তারা তাদের ১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করেছে। (ক্যাচ মিস নিয়ে বলব) দলে অনেক তরুণ প্লেয়ার আছে। তবুও যেভাবে ম্যাচে ছিলাম, যেভাবে এফোর্ট দিয়েছে ভালো ছিল।’

‘কঠিন ছিল আসলে, শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করা কঠিন। চাপের মধ্যে নার্ভ ধরে রাখতে হবে। যদি ক্যাচগুলো ধরতে পারতাম হয়ত ফল ভিন্ন হতো। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর যেভাবে ফিরে এসেছি ব্যাপারটা ভালো। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয়নি। তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল’, আরও যোগ করেন জ্যোতি।

নিজের ব্যাটিংয়েও ছন্দ নেই বাংলাদেশ অধিনায়কের। সেটি স্বীকার করে নিয়েই বললেন, ‘আক্ষেপ তো থাকে। ফল পক্ষে আসলে অনেক বড় মোমেন্ট হতো। উন্নতির জায়গা আছে। এখন সেসব নিয়েই কাজ করাটা জরুরি। সামনে আরও ৩ ম্যাচ আছে, যেখানে সুযোগ আছে আমাদের। প্লেয়াররা টপ অর্ডারে ব্যাট করি রান করার জন্য। প্রথম ম্যাচের পর সেভাবে রান পাচ্ছিলাম না। এবার আজকে চেষ্টা করেছি কিছু অবদান রাখার জন্য দলে।’

এসএইচ/এএইচএস