মার্শালের ১০ হাজার, সৌম্যর ১৮৬, ইফরান-মুগ্ধর পাঁচ উইকেট
জাতীয় ক্রিকেট লিগে চারটি ম্যাচ হয়েছে। মার্শাল আইয়ুব সেঞ্চুরি করার পথে ১০ হাজার রান করেছেন। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও ইফরান পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন। সৌম্য সরকার ১৮৬ রান করেছেন।
মার্শালের ১০ হাজার রান
বিজ্ঞাপন
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে বাংলাদেশের আরেক ব্যাটার যোগ হলেন। তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম ও মুমিনুল হকের পর চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন মার্শাল আইয়ুব।
কক্সবাজারে আজ জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশালের বিপক্ষে ঢাকার হয়ে মার্শাল প্রথম দিনে ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি টেস্ট খেলা এই ব্যাটার প্রথম শ্রেণিতে নিজের ২৮তম সেঞ্চুরি করেন। এদিন ৪২ রানে ১০ হাজারের মাইলফলকে পৌঁছান মার্শাল। এজন্য তাকে খেলতে হলো ১৭৪ ম্যাচ।
বিজ্ঞাপন
মার্শালের দারুণ ইনিংসে ঢাকা ৮০.৫ ওভারে ৭ উইকেটে করেছে ২৪৬ রান। দল ১৮ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। আশিকুর রহমানকে নিয়ে ১৩৫ রানের জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামাল দেন মার্শাল। আশিকুর করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান।
তৌহিদুল ইসলাম বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন।
সৌম্যর ১৮৬ রান, সাকিবের পাশে মুগ্ধ
রাজশাহীতে ময়মনসিংহ ৬ উইকেটে ৩২৮ রানের বড় সংগ্রহ করেছে। এমন স্কোরবোর্ডে সবচেয়ে বড় অবদান সৌম্য সরকারের। ২২২ বলে ২৪ চার ও ৫ ছয়ে ১৮৬ রান করেন তিনি। ২৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর কামাল সিদ্দিকীকে নিয়ে ২৩০ রানের জুটি গড়েন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন কালাম।
চার বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেলেন সৌম্য। ৯৬ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের তার এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ ১৫০ রান ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। সেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) মধ্যাঞ্চলের হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি।
শুভাগত হোম ময়মনসিংহের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। সৌম্যর উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাশে বসেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁন শুভাগত। সাকিবের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের কীর্তি গড়লেন তিনি।
মুগ্ধর পাঁচ উইকেট
রাজশাহীতে সাব্বির হোসেন ও রাহিম আহমেদের ফিফটিতে ২৬৮ রান করেছে রাজশাহী। রংপুরের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৪২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার এটি পঞ্চম ৫ উইকেট।
রংপুর দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৩৭ রান তুলে।
ইফরানের ৫ উইকেট
বগুড়ায় সিলেট অলআউট হয়েছে ২৫৫ রানে। ইফরান হোসেন ৫ উইকেট নিয়ে তাদের বেশিদূর এগোতে দেননি। চট্টগ্রামের এই বোলার ৬৫ রানে ৫ উইকেট নেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ষষ্ঠবার ৫ উইকেট পেলেন ইফরান। সিলেটের অধিনায়ক জাকির হাসান করেছেন সর্বোচ্চ ৭৩ রান। এ ছাড়া ফিফটি করেছেন পেসার রেজাউর রহমান (৫৭*)। চট্টগ্রাম ১ উইকেটে ১৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে।
এফএইচএম/