বিপিএলে ফিক্সিং প্রতিরোধে থাকছে সিআইডি
সবশেষ বিপিএলে ফিক্সিংয়ে সাত ক্রিকেটার সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকার কারণে এবার নিলাম থেকেই বাদ পড়েন। তাদের মধ্যে এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেনও আছেন। ভবিষ্যতে যেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতি না ঢুকে পড়ে, সেজন্য নতুন এক পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবি।
আগামী আসরে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি। এজন্য সিআইডির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হবে বলেছেন বিসিবির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল (৩০ নভেম্বর) বিপিএলের নিলাম শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
বিপিএলের দলগুলোর সঙ্গে সিআইডি নিযুক্তের ব্যাপারে সাখাওয়াত বলেন, ‘খেলার ইন্টেগ্রিটির জন্য আমরা নতুন একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ইন্টেগ্রিটি দল তো থাকবেই, বাংলাদেশ পুলিশের যে সিআইডি বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে একটা এমওইউ করছি। সিআইডির দুজন অফিসার- একজন পোশাকধারী, অন্যজন সাদা পোশাকে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবেন।’
ফিক্সিং প্রতিরোধে সিআইডির সক্ষমতা নিয়ে সাখাওয়াত বলেন, ‘সিআইডি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে (উন্নত) ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে আধুনিক সব প্রযুক্তি আছে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের কথাও তারা দেখতে পারে। তাদের সব ধরনের যন্ত্রপাতি মজুদ আছে। ফলে আমরা সরকারের সঙ্গে (কাজ করতে) যাচ্ছি। আর এখানে আমাদের স্বচ্ছতা ও খেলার স্বচ্ছতা। পাশাপাশি আপনাদের এটাও বোঝানো যে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’
এসএইচ/এফএইচএম
বিজ্ঞাপন