টেলএন্ডারে নেমেও মাত্র ৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড
লাল বলে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের আসর শেষ হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার)। কাদের হাতে এবার চ্যাম্পিয়ন শিরোপা উঠছে তা জানতে আর অল্প সময়ের অপেক্ষা। এরই মাঝে টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যানে নজর কেড়েছেন পেস অলরাউন্ডার আবু হায়দার রনি। মাত্র ৭ ইনিংসে ব্যাট করে তিনি সর্বোচ্চ ৩২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। যেখানে রনির ধারেকাছে নেই আর কেউই।
ময়মনসিংহ বিভাগের হয়ে খেলা এই তারকা অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে নামেন টেল-এন্ডারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রনিকে ফিনিশিংয়ের ভূমিকায় থাকতে হয়। তবে ছক্কা হাঁকানোয় তার আশপাশে কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের না থাকাটা কিছুটা অবাক করার মতোই! চারদিন ব্যাপী এনসিএল আসরে এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩টি ছয় মেরেছেন জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া সৌম্য সরকারের ব্যাটে ১২টি ছক্কা এসেছে। আর কারও ছয় দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
আবু হায়দার রনি ছক্কার দিক থেকে বড় লাফ দিয়েছেন মূলত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া এনসিএলের সপ্তম ও শেষ ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরির সুবাদে। ময়মনসিংহের এই তারকা রাজশাহীর বিপক্ষে ১২৭ বলে ১০ চার ও ১৩টি ছক্কায় ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে তার চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন স্রেফ দুজন। ২০১৪ এনসিএলের এক ইনিংসে মুক্তার আলি ১৬ এবং ২০১২ সালের বিসিএলে ১৫টি ছক্কা মারেন জিয়াউর রহমান।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ছয় হাঁকালেও, পুরো এনসিএলে খেলা হয়নি আবু হায়দার রনির। কারণ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মাঝে হংকং সিক্সেস ও এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্ট খেলেছেন। ফলে এনসিএলে ৪ ম্যাচের ৭ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন রনি। সেসব ম্যাচেই ৩২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। সব মিলিয়ে রনি ১০৫.২৫ গড়, ১১৬.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৪২১ রান করেছেন। এর মধ্যে ৩১৬ রানই হয়েছে বাউন্ডারিতে।
বিজ্ঞাপন
এবার প্রথমবারের মতো এনসিএলে অংশ নিয়ে ময়মনসিংহ পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে আসর শেষ করেছে। ৭ ম্যাচে ২ জয়, ১ হার ও ৪ ড্রয়ের পর তাদের পয়েন্ট ৮। রনি বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করা ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি ময়মনসিংহ। রাজশাহীর ৪২৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় তারা ২৮১ রানে গুটিয়ে যায়। অন্যদিকে, টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকা সিলেট ও রংপুর বিভাগের পয়েন্ট সমান ৯ করে।
এএইচএস