রাগে মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়া সুজন বললেন, ‘হিট অব দ্য মোমেন্ট’
রাত পোহালেই শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএল। তবে আজ বৃৃহস্পতিবার দিনভর ছিল চরম নাটকীয়তা। সকালটা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে। পরবর্তীতে দুপুর না হতেই নেতিবাচক খবরের শিরোনামে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। নানা অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষোভ জানিয়ে দলীয় অনুশীলন ছেড়ে যান দুই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও তালহা জুবায়ের।
পরে বিকেলে আবার অভিমান ভুলে দলে যোগ দেন এই দুই কোচ। ফিরে এসে গণমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘হিট অব দ্য মোমেন্টে (উত্তপ্ত পরিস্থিতি) হয়তবা এরকম একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দলের মালিকদের ধন্যবাদ, যারা দুজনই আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। উনারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, বিসিবি থেকেও আমার সঙ্গে কথা বলছে একটু।'
বিজ্ঞাপন
'অনুশীলনে যে অনুশীলন সামগ্রীগুলো দরকার হবে সেগুলো আমি পাইনি। তখন আমার একটু মেজাজ খারাপই হয়েছে আসলে। আমার সাথে হয়তবা একটু বাজে ব্যবহার করে ফেলেছে। আমি ভেবেছি টুর্নামেন্ট এখনো শুরুই হয়নি এখনই যদি বাজে ব্যবহার করে তাহলে খেলা হারলে কী হবে। তৌহিদ এবং আদনান দুজনই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। এটা আসলে পুুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি।'
সুজন মনে করেন, এমন ঘটনা এখনই হয়ে যাওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য ভালো হয়েছে, ‘যেটা আজকে হয়েছে হয়তবা ভালো হয়েছে একদিক থেকে। পরে হওয়ার থেকে আগে হয়ে যাওয়াটা ভালো হয়েছে হয়তবা। এটা হয়ে যাওয়াতে মনে হয় ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের দলের বন্ডিং আরও ভালো হবে, সেটা আমি বিশ্বাস করি।’
বিজ্ঞাপন
বিপিএল শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের প্রথম কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করেছে নোয়াখালী, ‘আমি আমার ফ্র্যাঞ্চাইজির নিয়ে দারুণ খুশি। আমি যেহেতু অনেকগুলা বিপিএল করেছি, আমাদের কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে ভালো মানের জার্সি, আজকে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে। আমি সত্যিই খুব খুশি যে উনারা কথা রেখেছেন, প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। আশা করি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে উনারা এভাবে আমাদের সাথে থাকবেন।’
এসএইচ/এইচজেএস