বিপিএলে প্রথমবারের অংশ নিয়ে অভিষেক ম্যাচে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তাদের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। যদিও ম্যাচ শেষে প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চান বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর অধিনায়ক সৈকত আলী। একইসঙ্গে হারের জন্য টপঅর্ডারে রান করতে না পারার কথা উল্লেখ করেছেন।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সৈকত বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা বেশি ছিল। বোলাররা খারাপ না, মোটামুটি করেছে। (তবে প্রতিপক্ষ) ১৫-২০ রান বেশি করেছে। (আমাদের) টপ অর্ডার থেকে ১-২টা জুটি হলে হয়তো খেলা ভিন্ন হয়ে যেত। প্রথম ম্যাচ, এখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। আশা করি শিখতে পারব পরের ম্যাচ।’

হার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা জানিয়ে নোয়াখালীর অধিনায়ক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আসলে ১-২ জনের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ওদের বিদেশি ওপেনার ভালো করেছে। ব্যাটিং কলাপ্স করাতে, কেউ যদি দাঁড়াতে না পারত, হয়ত খেলা আমাদের হাতেই চলে আসতে পারত। ইনশাআল্লাহ পরের ম্যাচে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সৌম্য সরকারসহ বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলতে পারলে জেতা সম্ভব বলে জানান সৈকত আলী, ‘সামনে সৌম্য এবং কিছু বিদেশি আসতে পারে। তখন হয়তো আলাদা কিছু হতে পারে। ৬-৭ জন ব্যাটার ছিল। হায়দার আলী বিদেশি, সাব্বির (হোসেন), (হাবিবুর রহমান) সোহান টপ অর্ডার। কম্বিনেশন ভালোই ছিল, পারফর্ম করতে পারলে হয়ে যেত।’

সাব্বির হোসেন শেষ কবে রান করেছে– এমন প্রশ্নের জবাবে সৈকত বলেন, ‘তাকে আসলে অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলানো হয়েছে। সে জাতীয় লিগে রান করেছিল। (পারফর্ম করা অন্যরাও ছিল, তবুও কেন সাব্বির?) এটার ব্যাখ্যা টিম কম্বিনেশনে। এটা তো প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তো কেউ জানবে না কে রান করবে কে করবে না। সামনে হয়তো (অন্য কিছু) দেখতে পাবেন।’

এসএইচ/এএইচএস