স্টিভ হার্মিসন ও ম্যাথু হগার্ড থেকে জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড- ইংল্যান্ডের গ্রেটদের দুই প্রজন্মের কাছে যে সাফল্য মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল, সেটা ধরা দিলো জশ টাংয়ের কাছে। ১৯৯৮ সালে ডিন হেডলির পর প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো অ্যাশেজ টেস্টে ম্যাচসেরা হলেন তিনি।

মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে এক ইনিংসে পাঁচটিসহ ম্যাচে মোট সাত উইকেট নিয়েছেন টাং। ২৭ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে হেডলির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১২ রান দূরে থাকতে থামে। উস্টারশায়ারের হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলা এই পেসার ৬০ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের অ্যাওয়ে টিমের ড্রেসিংরুমের অনার্স বোর্ডে তার সঙ্গে যোগ দেন টাং। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সোনালি অক্ষরে অমরত্ব লাভ করে তার নাম। 

২০২২ সালে অবসর নেওয়ার বেশ কাছে ছিলেন টাং। দুইবার কাঁধের অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। অন্য বোলাররা হয়তো বিদায় বলে দিতেন, কিন্তু টাং বললেন, ‘অ্যাড্রেনালিন (অ্যাডেনাল গ্রন্থির হরমোন) আমাকে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’ ২০২৩ সালের জুনে লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক তার, একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ম্যাচ খেলেন। তারপর প্রায় এক বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেরেন। এই বছর সব মিলিয়ে ছয় টেস্ট খেললেন। অ্যাশেজে অ্যাডিলেডে ৫ উইকেট নেওয়ার পর মেলবোর্নে ম্যাচসেরা পারফর্ম করলেন ২৮ বছর বয়সী পেসার। টাংয়ের এই সাফল্য আফসোসে পোড়াচ্ছে ইংল্যান্ডকে, সফরের শুরুতেই তাকে দলে নিলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারতো।

এফএইচএম/