ছবি : সংগৃহীত

করোনা মহামারির মধ্যে যখন আন্তর্জাতিক দলগুলো বিদেশ সফর করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে, তখন সাহসি পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের পর এবার বাংলাদেশে দল পাঠিয়েছে তারা। রোববার ঢাকায় পৌঁছেছে ক্যারিবীয়রা। করোনার মধ্যে খেলতে আসায় উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

করোনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল উইন্ডিজ। ঝুঁকি নিয়ে সবার আগে বিদেশ সফর করে তারা। ইংল্যান্ডে গিয়ে দীর্ঘদিনের কোয়ারেন্টাইন শর্ত মেনে টেস্ট খেলে নামে জেসন হোল্ডারের দল। এরপর নিউজিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে যায় ক্যারিবীয়রা। এবার মিশন বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রায় দেড় মাসের মতো সময় কাটাতে হবে সফরকারীদের। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকায় হোটেল আর মাঠের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশে দল পাঠানোয় উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বিসিবি।

‘অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সেটাকে মূল্যায়ণ করে তারা যে বাংলাদেশ সফর করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে, প্রত্যেকটা দেশই একেকটা সফরের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে সে ক্ষেত্রে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই।’

রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন

তবে বাংলাদেশ এসে পৌঁছালেও নিয়ম অনুযায়ী ৩ দিনের আগে অনুশীলনে নামতে পারবে না সফরকারীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে সবাইকে। তবেই অনুশীলনের সুযোগ মিলবে।

সুজন বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত যে কোভিড প্রটোকল, সে অনুসারে তারা হোটেলে অবস্থান করছে। সোমবার একটা টেস্ট (কোভিড) হবে। এরপর আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আরেকটি টেস্ট হবে। পরপর দুইটা করোনা টেস্টে নেগেটিভ হলে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তারা অনুশীলনের জন্য মাঠে আসতে পারবে।’

সঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও যোগ করেন, ‘আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনা করেই সব করছি। এগুলো স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস, শুধু বাংলাদেশ না যেখানে যেখানে ক্রিকেট ইভেন্ট হচ্ছে, সেখানেই কিছু চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হচ্ছে। এডজাস্টমেন্ট হচ্ছে। সুতরাং এটা নিউ নরমাল প্রসিডিউরের মধ্যেই আসবে। এগুলো আমাদের এভাবেই সমন্বয় করতে হবে।’ 

টিআইএস/এটি