প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, তাও আবার হার। এমন হতাশার ম্যাচেও বাংলাদেশের একটা জায়গা জ্বলজ্বলে আশার প্রদীপ। তিনি অবশ্য আলোচনায় ছিলেন আগে থেকেই। অলরাউন্ডার হিসেবে ভরসা হতে পারেন দলের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী চাঁদপুরের ছেলে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে এমন আভাস ছিল শুরু থেকেই। 

কিন্তু আশা তো কতজনকে নিয়েই থাকে। পরে তারা মিলিয়ে যান হাওয়ায়। তবে শামীম নিজেকে জানান দিলেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই। গত ম্যাচে বদলি ফিল্ডার হিসেবে নিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। ছড়িয়েছিলেন মুগ্ধতা। তার রেশ থাকতে থাকতেই ফের শামীম বুঝালেন, তিনি এখনই হতে পারেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলের অন্যতম ভরসা। 

বিশেষত সামনে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তখন শামীমের জন্য একটা জায়গা বরাদ্দ করা বাংলাদেশ দলেই আনতে পারে ভারসম্য। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জোরে শট খেলতে না পারা নিয়ে আফসোস ছিল অনেক। শামীম সে জায়গায় দুর্দান্ত। 

ইনিংসের প্রথম বল থেকেই পাওয়ার হিটিংয়ে পারদর্শী, ব্যাট চালান সাহসী হয়ে। সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর নিজের কার্যকরী অফ স্পিনে শামীম ভরসা হতে পারেন আগামী দিনে।

শুক্রবারই যেমন। যখন ক্রিজে এসেছেন, তখন জয়ের জন্য ৫২ বলে প্রয়োজন ৯৯ রান। যখন আউট হলেন, তখন দলের প্রয়োজন ২৯ বলে ৫৮ রান। হারতে বসা ম্যাচেও প্রাণ ফিরিয়েছিলেন শামীম। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

তবে মাধেভেরের করা ১৫তম ওভারে লং অফ দিয়ে মারা ছক্কা, ওই ওভারেই রিভার্স সুইপে থার্ড ম্যান দিয়ে মারা চার, টানা তিন বাউন্ডারি। অথবা ২২৩.০৭ স্ট্রাইক রেটে শামীমের খেলা ১৩ বলে ২৯ রানের ছোট্ট ইনিংস। 

এসব হয়তো এখনই শামীমকে বিচার করার জন্য যথেষ্ট না। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স। জাতীয় দলে এসেও দেখানো সাহস, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ক্ষিপ্রতা। এসব অন্তত বার্তা দিচ্ছে ঠিক পথে থাকলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাণ্ডারি হতে পারেন তিনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং মিলিয়ে এই সংস্করণে তার মতো একটা ক্রিকেটার বাংলাদেশ যে অনেক দিন ধরেই খুঁজছে।

এমএইচ