জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও জয় দিয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রানে হেরেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এই ম্যাচ হারের পর মাহমুদউল্লাহ কাঠগড়ায় তুললেন পরিকল্পনা প্রয়োগের অভাবকে। বললেন, আত্মতুষ্টিতে ভুগেননি তারা।

ম্যাচ শেষে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আত্মতুষ্টিতে ভুগছি এমন কোনো মনোভাব মাঠে আমাদের ছিল বলে মনে হয় না। এই ম্যাচের জন্যও আমাদের পূর্ণ মনোযোগ ছিল এবং ভালো করতে প্রত্যয়ী ছিলাম। হয়তো বা পরিকল্পনা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। এ কারণে ম্যাচটা হেরেছি।’

এদিন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগের কোথায় নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের কাছে। ব্যাটসম্যানদের কেউই দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ছিল না বড় কোনও জুটি। ফিল্ডিংয়ে হাত ফসকেছে একাধিক ক্যাচ। গ্রাউন্ডস ফিল্ডিংও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মাহমুদউল্লাহ নিজেদের কাঁধে দায় নিয়ে বললেন, আমরা পারিনি।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক জানাচ্ছিলেন, ‘ব্যাটিংয়ে গ্রুপ হিসেবে আজ আমরা ক্লিক করতে পারিনি। কোনো বড় পার্টনারশিপ করতে পারিনি। ১৬০ রানেরও বেশি তাড়া করতে গেলে ভালো শুরু গুরুত্বপূর্ণ। তা করতে পারিনি বলেই ফলাফল পক্ষে আসেনি। ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। ১৬০ রান তাড়া করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। দ্রুত ২-৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপে ছিলাম। এরপরও উইকেট হারাচ্ছিলাম। একটা ৩০ আর একটা ৫০ রানের পার্টনারশিপ হলে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যেত।’

সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আমাদের ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেরই সামর্থ্য আছে। আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। স্পিন বিভাগ দেখুন, পেস বিভাগ দেখুন, অলরাউন্ডারদের দেখুন- সব জায়গাতেই আমরা পরিপূর্ণ।’

প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল হওয়ায় জিম্বাবুয়ে সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ দল। সে পথে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা। তবে এই সফরের তিন ফরম্যাটে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর হারের পর এই হারকে বড় করতে দেখতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ।

টাইগার দলপতি বললেন, ‘একটা ম্যাচে ভালো খেলতে পারিনি মানে এই না আমরা খারাপ দল হয়ে গিয়েছি। আজকে ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’

টিআইএস