শামীমের ভেতরে ম্যাচ জেতানোর ক্ষুধা ছিল
যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! মাত্র ২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে শুধুই শামীম পাটোয়ারীই নয়, ক্রিকেট বোদ্ধারা বলেবেন, কাউকেই মানদণ্ডে ফেলে সাফল্য-ব্যর্থতার বিচার করা উচিত হবে না। তবে তরুণ প্রতিভা শামীম ব্যতিক্রম তার আগ্রাসী মনোভাবের কারণে। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়তে পটু তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণে অনেকবারই আলোচনায় উঠেছে শামীমের নাম। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েও সে ধারা অব্যাহত রেখেছেন শামীম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। আফিফ হোসেন আউট হওয়ার পর শামীম যখন ক্রিজে আসলেন, তখন বাংলাদেশ দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৬ বলে ৪৪ রান। অবলীলায় সে কাজটি সম্পন্ন করেন শামীম। খেলেন ১৫ বলে ৩১ রানের হার না মানা এক ইনিংস। শেষদিকে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচ শেষে প্রশংসা বন্যায় ভাসেন শামীম। সতীর্থ সৌম্য সরকার জানালেন, শামীমের ভেতরে ম্যাচ জেতানোর ক্ষুধা ছিল। এক ভিডিও বার্তায় সৌম্য বলেন, ‘শামীম যতটুকু ব্যাটিং করেছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, ওর ভেতরে ইতিবাচক একটা দিক আছে। ওর ভেতরে ম্যাচ জেতানোর ক্ষুধা ছিল। আমার খুব ভালো লেগেছে যে ও নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতিয়ে এসেছে।’
শামীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আগে বাংলাদেশকে খেলায় রেখেছিলেন সৌম্য। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। জয়ের পর ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরার পুরষ্কারও ওঠে সৌম্যের হাতে। ইতিবাচক মনোভাবেই সফলতা এসেছে বলে জানালেন সৌম্য।
বিজ্ঞাপন
জিম্বাবুয়েতে থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সৌম্য বলছিলেন, ‘অনুভূতি ভালো, ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি। ভালো খেলেছি, এটাই সবচেয়ে বড়। পজিশন নিয়ে চিন্তা করিনি, চিন্তা করেছি নিজের সেরা দিতে এবং যখন সুযোগ পাব, নিজের সেরাটা দিতে পারলে আমার জন্য খুব ভালো হবে। ওটাই সবসময় মাথায় ছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তো আক্রমণাত্মক থাকতেই হয়। ইতিবাচক থাকতে হয় ও ইনটেন্সিটিও উচ্চ থাকতে হয়।’
টিআইএস