অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলক বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে অজিদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয়নি বাংলাদেশ দলের। বিশ্বকাপের মঞ্চে যে চারবার মুখোমুখি হয়েছে, চারবারই হার টাইগারদের। তার ওপর এবার পারিবারিক আর চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারেননি দলের নিয়মিত তিন সদস্য তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

এই তিনজনকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। রীতিমতো দাপট দেখিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে টাইগাররা। দলের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়াই এমন জয় কীভাবে দেখছে বাংলাদেশ দল? অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তারা ফিরলে আরও শক্ত হবে দলীয় সমন্বয়। বাড়বে দলের শক্তি। সঙ্গে দলের সদস্যদের মধ্যে হবে সুস্থ প্রতিযোগিতা।

সিরিজ শেষে সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘অবশ্যই এটা আমাদের বড় একটা প্লাস পয়েন্ট যে, বেশ কজন নিয়মিত ক্রিকেটার ছাড়াও আমরা সিরিজটি জিততে পেরেছি। এটি আমাদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে এবং তারা যখন দলে ফিরে আসবেন, তখন দলের শক্তিমত্তা আরও অনেক বেড়ে যাবে।’

সঙ্গে আরও বলেন সাকিব, ‘স্বাভাবিকভাবেই এটি আমাদেরকে অনেক বেশি কম্পিটিটিভ করে তুলবে দলের ভেতরে এবং যা দরকার একটা বড় দল হয়ে ওঠার জন্য। আমার মনে হয়, তা এখন থেকে শুরু হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় সহজ কথা নয় মোটেও। তবে সাকিব জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটে সিরিজ জয় কাজে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ হওয়ায় বাইশ গজের লড়াইকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন ক্রিকেটাররা। লক্ষ্য ছিল ভালো কিছু করার। সেই প্রত্যয় কাজে লেগেছে অজিদের বিপক্ষে।

গোটা সিরিজে ব্যাট-বলে অনবদ্য পারফর্ম করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা সাকিব বললেন, ‘বাড়তি মোটিভেশন থাকে যখন বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলা হয়, যারা সাধারণত আমাদের দেশে সফরে আসে না নিয়মিত, তাদের সঙ্গে খেলা হলে একটু বাড়তি মোটিভেশন তো থাকেই।’

যোগ করেন সাকিব, ‘যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়েতে একটা ভালো সিরিজ গিয়েছে এবং সবাই খুব মোটিভেটেড ছিল যে এই সিরিজটাও আমাদের ভালো করতে হবে, যেহেতু আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনও সিরিজ জিতিনি এবং এটা একটা সুযোগ ছিল, তাই আমরা সবাই চেয়েছিলাম যেন দলগতভাবে ভালো করতে পারি। সেটাই হয়েছে।’

টিআইএস