বাবর আজম/ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২১৭
উইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ২৫৩
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস ১৬০/৫ (আবিদ ৩৪, আজহার ২৩, বাবর ৫৪, রিজওয়ান ৩০, ফাহিম ১২; রোচ ১৫-২, সিলস ৫০-২, হোল্ডার ২৭-১)

উইন্ডিজের লিডটা বড় হবে না, সেটা অনুমিতই ছিল। কিন্তু শেষ দুই রানে দুই উইকেট হারাবে স্বাগতিক উইন্ডিজ, তেমনটা হয়তো আশা করেনি স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনের শুরুতে শাহিন শাহ আফ্রিদির আঘাতে ক্যারিবীয়দের ইনিংস শেষ হয়ে যায় দিনের পাঁচ ওভার না যেতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিড পায় ৩৬ রানের।

জবাবে সফরকারী পাকিস্তানের শুরুটাও ভালো হয়নি মোটে। তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন ওপেনার ইমরান বাট। এরপর আবিদ আর আজহার আলির একটা জুটি গড়ে উঠলেও সেটা থেমে যায় ৫৫ রানেই। ব্যক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নেন আজহার। দুটো উইকেটই তুলে নেন রোচ।

এর কিছু পরে বিদায় আবিদ আলিরও। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে তাকে ফেরান জেইডেন সিলস। রানের খাতা খোলার আগে ফাওয়াদ আলমকেও ফেরান সেই সিলস। পাকিস্তান তখন রীতিমতো কাঁপছে। 

এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাবর। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন রিজওয়ানকে। দুজনে মিলে ৫৬ রানের একটা ছোট জুটিও দাঁড় করিয়ে ফেলেন। তাতে প্রাথমিক বিপর্যয়টা কাটায় পাকিস্তান। 

তবে হোল্ডারের শিকার বনে রিজওয়ান ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফেরত গেলে আবারও বিপদে পড়ে পাকিস্তান। এরপর অবশ্য দলকে আর কোনো ক্ষতির শিকার হতে দেয়নি বাবর আর ফাহিম আশরাফের জুটি। দুজনে মিলে পার করে দিয়েছেন প্রায় ২৫ ওভার, যোগ করেছেন ৩৯ রান। মাঝে বাবরও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। তাতে পাকিস্তানের লিডটাও শতরান পেরিয়ে যায়। 

১৬০ রানে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের আশা হয়ে আছেন বাবর। তার ব্যাটে চড়েই যে সফরকারীরা দেখছে বড় স্কোরের আশা, তা বলাই বাহুল্য। 

এনইউ