আফগানিস্তানে নারীদের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তিত আইসিসি
পুরো বিশ্বের মতো আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)। দুবাইয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তারা আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে। তালেবানদের ক্ষমতা দখলের ফলে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে আছে আইসিসি।
আফগান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে দেশটিতে নারীদের ক্রিকেট চালু রাখা। এনিয়ে চিন্তিত আইসিসিও। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এটি। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ২৫ নারী ক্রিকেটারকে কেন্দ্রিয় চুক্তির আওতায় আনে এসিবি। এখন নারীদের ক্রিকেটের কী হবে এই ব্যাপারে কোনো কিছুই স্পষ্ট নয়।
বিজ্ঞাপন
এনিয়ে আইসিসির নারী ক্রিকেট কমিটির সদস্য লিসা স্টালেকার বলেছেন, ‘আমি আইসিসি থেকে এখনও জানতে পারিনি নারীদের ক্রিকেটে আফগানিস্তানে কী হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি সেখানকার নারীদের ক্রিকেটে নিয়ে চিন্তিত।’
যদিও দেশটিতে ক্রিকেট চালানো নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন আফগানিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সিইও হামিদ শেনওয়ারি বলেছেন, তালেবানরাই আফগানিস্তানে ক্রিকেট এনেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘তালেবান ক্রিকেট ভালোবাসে। খেলাটিকে তারা শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেটের কোনো কাজেই তারা কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাদের হস্তক্ষেপের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। আমার মনে হয় উল্টো তাদের সমর্থন থাকবে। আমাদের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নেবে তারা।’
তালেবানদের পূর্ববর্তী শাসনামলেই ক্রিকেটের উন্নতি হয়েছিল জানিয়ে হামিদ শিনওয়ারি বলেছেন, ‘তালেবানদের শাসনামালেই আফগানিস্তানে ক্রিকেটের প্রসার হয়েছিল। আমাদের অনেক খেলোয়াড় পেশোয়ারে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পায় এবং তারাই আফগানিস্তানের খেলাটা মূলধারায় নিয়ে আসে।’
ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে এসিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাইরে খেলছে এমন চার-পাঁচজন ক্রিকেটাররা ছাড়া বাকিরা সবাই দেশেই আছে। তারা নিরাপদে এবং ভালো আছে।’
এমএইচ