নিজের অভিষেক টেস্টটা খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। দল তখন মাত্রই ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে। অভিষেক টেস্টটাতেও তো দল ছিল কোণঠাসা। সেখান থেকেই দলকে জিতিয়ে বাংলাদেশকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিলেন কাইল মেয়ার্স। গড়েছিলেন অজস্র রেকর্ডও।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ উইন্ডিজের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছিল ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। এমন বড় লক্ষ্য আর যেখানেই হোক অন্তত এশিয়ার মাটিতে তাড়া করা হয়নি কখনোই। 

এর ওপর এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উইন্ডিজ ৬০ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। সেখান থেকে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। করেছেন অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি, তাতে উঠে গিয়েছিলেন ইতিহাসের পাতাতেও।

আরেক অভিষিক্ত এনক্রুমাহ বোনারকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছিলেন ২১৬ রান। চতুর্থ ইনিংসে ১৪৪ বছরের ইতিহাসে দুই অভিষিক্তের এর চেয়ে বড় জুটি আর একটাই দেখেছিল টেস্ট ক্রিকেট। ৫৫ বছরে এই প্রথম। অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে এশিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বড় ইনিংস ছিল না আর কারও।

তবে এরপরই যেন পপাত ধরণীতল। ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি একবারও। ফিফটিই করতে পেরেছেন মোটে দু’বার। রান করতে পেরেছেন মাত্র ২৭০। এমন কিছু খুব বাজে কিছু না হলেও ঝলমলে রেকর্ডগড়া অভিষেকের পর অবশ্যই বেমানান। 
পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত সিরিজে যেন তার দুঃসময় নিয়েছে চূড়ান্ত রূপই। দুই টেস্টের প্রথম ছয় বল খেলে আউট হয়েছেন তিনবার, রানের খাতা খোলার আগেই।

শেষ ইনিংসে আবারও চট্টগ্রাম-স্মৃতি ফেরানোর সুযোগ ছিল তার সামনে। উইন্ডিজের সামনে ছিল ৩২৯ রানের লক্ষ্য। যখন উইকেটে এলেন, দল তখন ১০১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। ৫৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে তেমন কিছুর ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন বেশ। কিন্তু এরপরই যেন পুরনো ভূত সওয়ার হলো তার ব্যাটে। শাহিন শাহ আফ্রিদির অফস্টাম্পের বাইরের খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। তাতে মেয়ার্সের মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা সময়টাও দীর্ঘায়িত হয়েছে আরেকটু।

এনইউ/এটি