অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর পর প্রত্যাশা আরও বড় হয়েছে বাংলাদেশ দলের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জয় ছাড়া কোনো ভাবনা নেই স্বাগতিক শিবিরে। এজন্য ঘুরেফিরে আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। যেখানে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে। অজিদের নাস্তানুবাদ করতে উইকেটের সাহায্য নিয়েছিল টাইগাররা। মন্থর উইকেটে করেছিল বাজিমাত। কিউইদের বিপক্ষেও কি একইরকম থাকবে উইকেট?

ঘুরেফিরে আলোচনায় একটি প্রশ্ন। যেটি বেশি ডালপালা মেলেছে সামনে বিশ্বকাপ থাকায়। স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে সিরিজ হারালেও বিশ্বকাপের জুতসই প্রস্তুতি হবে কি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের? আজ (সোমবার) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার কাছেই জানতে চাওয়া হলো, ঠিক কেমন হবে উইকেটের চরিত্র? জবাবে ডমিঙ্গো জানালেন, মাঠকর্মী নন তিনি।

ডমিঙ্গো বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি মাঠকর্মী না। আমি ভালো উইকেটের প্রত্যাশা করতে পারি। বছরের এই সময়টায় যখন অনেক বৃষ্টি হচ্ছে আর সূর্যের আলোও তেমন নেই, এমন সময়ে বছরের অন্য সময়ের মতো উইকেট প্রস্তুত করা কঠিন। ভালো উইকেটেরই প্রত্যাশা করছি।’

ভালো উইকেট বলতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটকে বুঝিয়েছেন ডমিঙ্গো। যেখানে ১৫০ থেকে ১৬০ তোলা যাবে সহজে। এতে বিশ্বকাপের আগে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে বলে জানান ডমিঙ্গো। তবে সিরিজ জয়টিও যে গুরুত্বপূর্ণ সেটিও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

ডমিঙ্গোর ব্যাখ্যা, ‘ব্যাটিং লাইনআপকে আত্মবিশ্বাস দিবে এমন উইকেটের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছি। আমরা এমন উইকেট চাই যেখানে ১৫০-১৬০ রান ভালো স্কোর হবে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে চাই তা বলা কঠিন। কারণ এখানে ব্যাটিং কন্ডিশন অনেক কঠিন। বড় ইনিংস খেলতে পারলে ভালো হত।’ 

১ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেই লড়াইয়ের আগে ডমিঙ্গো আরও বলছিলেন, ‘তবে একইসাথে জয় ও জয় পরবর্তী আত্মবিশ্বাসের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশের মাটিতে আপনি ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস চাইবেন। বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাস আর জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

টিআইএস/এটি