ক্রিকেট দুনিয়ার আরও এক কিংবদন্তির অবসর। তবে এই অবসর ক্রিকেটার হিসেবে নয়। ধারাভাষ্যকারের জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা পেসার মাইকেল হোল্ডিং। দীর্ঘ ৩১ বছরের মাইক্রোফোন হাতে ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি।

১৯৮৭ সালে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন হোল্ডিং। এরপর ১৯৮৮ সাল থেকে ধারাবিবরণীর সাথে যুক্ত তিনি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন সবসময় প্রতিবাদী কণ্ঠ হোল্ডিং। ‘না’ বলেছেন যেকোনো ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগকেও। 

দীর্ঘদিন তিনি স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্য দলের সদস্য ছিলেন। ক্রিকেট ছাড়ার পর ব্রটকাস্টিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রেডিও জ্যামাইকায় ধারাভাষ্য শুরু করেন। ১৯৯০ সালে টেলিভিশনে আসেন তিনি। 
কাউকে আঘাত না করে নিজের মতটা সরাসরি তুলে ধরা, দারুণ ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যার জন্য ক্রিকেট দুনিয়ার ধারাভাষ্যের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন হোল্ডিং।
 
২০১০ সালের আসিফ আমিরের স্পট ফিক্সিংয়ের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ধারাভাষ্যে ছিলেন। তিনি তখন বলে ছিলেন,  ‘এই তরুন ক্রিকেটারদের এই দারুন সময়ে এই কাণ্ডে জড়ানো দুঃখজনক।’

১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে তিনি ৬০টি টেস্ট ও ১০২টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সে সময়ের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন। হোল্ডিং তার ধারাভাষ্য জীবনে কখনো টি টোয়েন্টি লিগে ধারাবিবরণী দেননি। আইপিএলে কোটি টাকার প্রস্তাবও পেয়েও রাজি হননি। কারণ মাইকেলের মতে টি টোয়েন্টি লিগ আসল ক্রিকেট নয়।

ধারাভাষ্য থেকে হোল্ডিংয়ের অবসর ঘোষণার পর ইংলিশ সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন টুইট করেন, ‘দারুণ একজন মানুষ তিনি, তাকে ধারাভাষ্যে মিস করবো অনেক।’
 
হোল্ডিং গত বছরই অবসরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০২০ সালের পর কতদিন ধারাভাষ্য চালিয়ে যাব সেটা অনিশ্চিত। এই বয়সে খুব বেশিদূর যেতে পারব বলে মনে হয় না। এখন আমার বয়স ৬৬ বছর, ৩৬, ৪৬ বা ৫৬ নয়।’ শেষ পর্যন্ত অবসরে চলেই গেলেন তিনি। 

এমএফ/এমএইচ