অনুশীলনে সৌম্য সরকার/বিসিবি

জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচের দুটিতেই ফিফটি করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ঘরের মাঠে ফিরে দুটি সিরিজ একেবারেই ভালো যায়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে সাকুল্য করেন ২৮ রান। নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে সুযোগ পান ১ ম্যাচে। সে ম্যাচে করেন মোটে ৪ রান। বিশ্বকাপের আগে ব্যাট হাতে ছন্দ ফিরতে অনুশীলনে বাড়তি মনোযোগ সৌম্যর।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজে ঘরের মাঠের ফায়দা নিয়েছিল বাংলাদেশ। মন্থর উইকেটে করেছিল বাজিমাত। তবে ব্যাটসম্যানরা একেবারেই রান পাননি। আসন্ন বিশ্বকাপে উইকেট থাকবে ব্যতিক্রম। খেলতে হবে স্পোর্টিং উইকেটে। যেখানে ম্যাচ জেতাতে ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। এজন্য বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের অনুশীলন করছেন বলে জানালেন সৌম্য।

শুক্রবার সংবাদমধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৌম্য বললেন, ‘স্কিল নিয়ে কিছু কাজ করা তো হয়েছেই। ব্যালেন্স করা, উইকেটে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমরা গত যে দুই সিরিজে খেলেছি, সেখানে উইকেট অনেক কঠিন ছিল। স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। গত অনুশীলন সেশনগুলোতে উইকেট ভালো ছিল। বড় শটস খেলতে গেলে ভারসাম্য জরুরি। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করেছি।’

সঙ্গে আরও যোগ করেন সৌম্য, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট স্পোর্টিং উইকেটে হয়। আশা করি সবাই ওখানে (বিশ্বকাপে) মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা জয়ের ধারায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস আছে।’

বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৭ অক্টোবর। শুরুর দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। তবে সুপার টুয়েলভে খেলতে হলে আগে প্রথম পর্বের বাধা টপকাতে হবে টাইগারদের। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানকে। নিজেদের তুলনায় তারা তুলনামূলক দুর্বল দল হলেও সেভাবে ভাবছেন না সৌম্য।

সৌম্য বলছিলেন, ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ বলে কেউ নেই। সবার সাথেই ভালো করতে হবে। আলাদা কোনো কিছু নেই। মাঠে সব প্রতিপক্ষই সমান। দশ নম্বর দলের বিপক্ষে যে মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিৎ, এক নম্বর দলের বিপক্ষেও একই মনোযোগ নিয়ে খেলা উচিৎ। সবাইকে সমান চোখে দেখলে ভালো হয়। সব দল সমান। আলাদা কিছু না ভেবে নিজের সেরাটা দিতে হবে।’

টিআইএস/এনইউ