গত মঙ্গলবারই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল  পেয়েছেন লিওনেল মেসি। এখন কোথায় একটু শান্তিতে থাকবেন, তা না। উল্টো প্যারিসে তার হোটেলে কি না হানা দিয়েছে ডাকাত। দিনের বেলা একদল মুখোশধারী রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে সেখানে। যদিও মেসি কিংবা তার পরিবারের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মেসির ঘরে ডাকাতি না হলেও, তার আশেপাশের বেশ কয়েকটি ঘরে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। দামি গয়না এবং নগদ অর্থ লুট করেছে ডাকাতরা। মাস দেড়েক আগেই পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন মেসি। নতুন শহরে এখনও বাড়ি কেনা হয়নি।নতুন শহরের জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে আর্জেন্টাইন তারকার। 

এখনও নামী হোটেলেই সপরিবারের দিন কাটাচ্ছেন মেসি। লে রয়্যাল মনেকাউ নামের হোটেলটি প্যারিস শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। দৈনিক এর ভাড়া হিসেবে মেসিকে গুণতে হচ্ছে ১৭ হাজার ইউরো অর্থাৎ ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এমন হোটেলে কি না ডাকাতি। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ছাদ থেকে দেওয়াল বেয়ে নিচে নেমেছিল দু’জন ডাকাত। তাদের মুখে ছিল মুখোশ। দেওয়াল বেয়েই হোটেলের খোলা বারান্দায় নেমে পড়েন তারা। তারপরই ভাঙচুর চালায় হোটেলে। কয়েক হাজার পাউন্ড এবং সোনার গয়না চুরি করে পালায় তারা। 

হোটেলের একাধিক অতিথি তাদের মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই হোটেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, মেসি আসার পর হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও এই ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।

এমএইচ/এটি