সাকিব আল হাসান চলতি আইপিএলের প্রথম অংশে খেলেছিলেন তিন ম্যাচ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিতীয় পর্বের খেলাগুলোতে রীতিমতো ব্রাত্যই হয়ে পড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দল থেকে, খেলতে পারেননি একটি ম্যাচেও। অবশেষে গত রাতে সান রাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে সুযোগ পেলেন একাদশে। ফিরেই দারুণ পারফর্ম করলেন, দলের জয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা। তাতে অধিনায়ক অইন মরগ্যানের প্রশংসাও কুড়িয়ে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। 

সাকিব তার সাবেক দল হায়দরাবাদের বিপক্ষে ব্যাট করার সুযোগ পাননি কাল। তার আগেই দল পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। তবে এই পথটা সাকিব গড়ে দিয়েছিলেন দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে। 

চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে সাত থেকে ১৩ ওভার পর্যন্ত টানা চার ওভার করেছেন সাকিব। রানের গতি তো আটকেছেনই, দুই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে হায়দরাবাদের বড় স্কোরের আশাও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই। শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই। সাকিবের বলে ক্রমাগত ডটের চাপ এড়াতে দ্রুত একটা রান তুলে নিতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু শর্ট মিড উইকেট থেকে দারুণ এক থ্রোতে তাকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। 

পরের ওভারে উইকেটটা পেতে পেতেও পাননি। দ্বিতীয় ওভারে প্রিয়মের ফিরতি ক্যাচটা লুফে নিতে পারেননি তিনি। তবে সে অপেক্ষাটা শেষ হয়েছে পরের ওভারেই। ইনিংসের একাদশ ওভারে অভিষেক শর্মাকে ফেরান স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে। পরের ওভারে ছক্কা হজম করেছেন একটা, তবে তার ইকনমি রেটটা ৫-ও ছাড়ায়নি তাতে।

এমন বোলিং-ফিল্ডিংয়েই চাপে পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। এরপর শিভম মাভি, বরুণ চক্রবর্তী ও টিম সাউদিরা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়িয়ে আইপিএল টেবিলের নিচুসারির দলটিকে বেধে ফেলেন ১১৫ রানেই। সে রানটা তাড়া করতে সমস্যাই হয়নি কলকাতার। জিতে গেছে ছয় উইকেটে।

ম্যাচ জিতে কলকাতা অধিনায়ক সাকিবের অবদানটাকে দেখলেন যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই। হাজার হোক, জয়ের পথটা তো গড়ে দিয়েছিল সাকিবের নজরকাড়া বোলিংই। মরগ্যান বললেন, ‘এটা বিশাল কিছু, সাকিবের মতো একজন অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে একাদশে আনার গভীরতা, আর শক্তি থাকা মানে স্কোয়াডের জন্য বিরাট এক বিলাসিতা। সে দলে এসেই ম্যাচ জয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। সে অসাধারণ খেলেছে।’

এমন পারফর্ম্যান্সের পরই সাকিব মুখোমুখি হবেন তার জাতীয় দল সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমানের, অবশ্য তা পরের ম্যাচে একাদশে থাকা সাপেক্ষে। আগামী বৃহস্পতিবার মুস্তাফিজের রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলবে সাকিবের কলকাতা।

এনইউ/এটি